এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা বা এককেন্দ্রিক সরকার বলতে কি বোঝায়? | এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য | একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উওর
আজকের এই ব্লগ একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় " সরকারের বিভিন্ন রূপ " থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তোমাদের সঙ্গে আলোচনা করবো। এবং সেখান থেকে যেই প্রশ্নটি তোমাদের পরিক্ষায় থাকতে পারে, তা হলো " এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা বা এককেন্দ্রিক সরকার বলতে কি বোঝায়? এবং এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য গুলো আলোচনা করো। আজকে আমরা একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় " সরকারের বিভিন্ন রূপ " থেকে এককেন্দ্রিক সরকার বলতে কি বোঝায়? এবং এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ নোট তোমাদের সাথে শেয়ার করবো। পরবর্তীতে তোমরা একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় সহ অন্যান্য অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবে।
Table Of Contents | আজকের বিষয়
• একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উওর
• এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা বা এককেন্দ্রিক সরকার বলতে কি বোঝায়?
• এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
• এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা বা এককেন্দ্রিক সরকার বলতে কি বোঝায়?
• এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা বা এককেন্দ্রিক সরকার বলতে কি বোঝায়? | এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য | একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উওর
এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা বা এককেন্দ্রিক সরকার বলতে কি বোঝায়?
উওর : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা বলতে সেই প্রকারের শাষন ব্যবস্থাকে, যখন সরকারের যাবতীয় ক্ষমতা শুধু একটিমাত্র উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকে। এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়া অন্য কোনো সরকারের হাতে কোনো সার্বভৌম ক্ষমতা থাকেনা। তবে এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় শাসনকার্যের সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নিজের ইচ্ছামত কিছু আঞ্চলিক সরকার গঠন করে। কিন্তু সেই আঞ্চলিক সরকার গুলো সম্পূর্ণ ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এবং তাদের অস্তিত্বও কেন্দ্রীয় সরকারের ওপরেই নির্ভর করে। ব্রিটেন, ফ্রান, নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি রাষ্ট্রে এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা রয়েছে।। এককেন্দ্রিক শাষন ব্যবস্থায় বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন -
এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো।
◆ কেন্দ্রীয় সরকারের একক প্রাধান্য : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় সরকারের বা রাষ্ট্রের সর্বপ্রকার কার্য কেবল কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা পরিচালিত হয় সুতরাং এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারি হলো সর্বোচ্চ সরকারি ক্ষমতার অধিকারী। তবে কিছু ক্ষেত্রে সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কতগুলি আঞ্চলিক সরকার গঠন করে থাকে। কিন্তু সেইসব সরকারের কোনো স্বাতন্ত্র্য থাকেনা। কেন্দ্রীয় সরকারের অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা সহকারে সঙ্গে পালন করাই হচ্ছে সেসব আঞ্চলিক সরকারের দায়িত্ব।
আঞ্চলিক সরকার গুলো যদি কেন্দ্রীয় সরকারের কথা মেনে না চলে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার সেসব আঞ্চলিক সরকারের অস্তিত্ব মিটিয়ে দিতে পারে। তাই তাদের অস্তিত্বও কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভর করে।
◆ কেন্দ্রীয় আইনসভার প্রধান্য : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় সংবিধানের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় আইনসভা হল সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। কেন্দ্রীয় আইনসভা যেকোনো ধরনের আইন প্রনয়ন করতে বা প্রচলিত আইনের কোনো অংশ সংশোধন বা বাতিলও করতে পারে। এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় আইনসভার কর্তৃত্ব রাষ্ট্রের সর্বত্র সম্প্রসারিত।
◆ লিখিত ও অলিখিত সংবিধানের উপস্থিতি : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় সংবিধান লিখিতও হতে পারে আবার অলিখিতও হতে পারে। যেমন ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রে সংবিধান লিখিত হলেও ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত।। তবে যেসব দেশের সংবিধান লিখিত সেসব দেশের সংবিধানের কিছু অংশ অলিখিত রয়েছে।
◆ সার্বভৌম ক্ষমতা : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় সমস্ত সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হলো কেন্দ্রীয় সরকার। এরুপ শাসনব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের অস্তিত্ব ছাড়া অন্য কোনো সরকারের অস্তিত্ব থাকে না। অন্য কোনো সরকারের উপস্থিত থাকলেও তাকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় তাদের কোনো সার্বভৌম ক্ষমতা থাকেনা।
◆ সুপরিবর্তনীয় সংবিধান : এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার সংবিধান সুপরিবর্তনীয় অর্থাৎ সংবিধন খুব সহজে পরিবর্তন করা যায়। কেন্দ্রীয় আইনসভা সাধারণ আইন প্রণয়নের পদ্ধতি অনুসারে সংবিধান সংশোধন করতে পারে। সুতরাং এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা সংবিধানের কোনো অংশ সংশোধন করার জন্য বিশেষ কোনো পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয় না।
◆ এক নাগরিকত্ব স্বীকৃতি : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় নাগরিকদের জন্য এক নাগরিকত্ব রয়েছে। আর সেটা হল কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব। এরুপ শাষন ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়া অঙ্গরাজ্যগুলোর জন্য পৃথক কোনো নাগরিকতা থাকে না।
◆ ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ঘটে। এরকম শাষন ব্যবস্থায় সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী হলো কেন্দ্রসরকার।
◆ আদালতের গুরুত্বহীনতা : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় যেহেতু সংবিধান অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকার এবং আঞ্চলিক সরকার গুলির মধ্যে কোনো ক্ষমতার বন্টন হয় না, সেহেতু ক্ষমতা বন্টন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উভয় প্রকার সরকারের মধ্যে কোনো বিরোধ সৃষ্টির প্রশ্নই থাকে না। তাই সংবিধানের ব্যাখ্যা কর্তা এবং রক্ষাকর্তা হিসেবে আদালতের গুরুত্ব থাকেনা বললেই চলে।
আশাকরি যে, আজকের ব্লগের একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় " সরকারের বিভিন্ন রূপ " এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন " এককেন্দ্রিক সরকার বলতে কি বোঝায়? | এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি? " তার উওর পেয়ে গেছো। যদি এই পোস্টটি তোমাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্ট গুলো পড়ে দেখো।
Tags :