মৃত্তিকা সংরক্ষণ কাকে বলে?? মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধের উপায় বা সংরক্ষণের উপায় গুলি লেখো |ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর

0

মৃত্তিকা সংরক্ষণ কাকে বলে?? মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধের উপায় বা সংরক্ষণের উপায় গুলি লেখো || মাধ্যমিক ভূগোল পঞ্চম অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর

মৃত্তিকা সংরক্ষণ কাকে বলে?? মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধের উপায় বা সংরক্ষণের উপায় গুলি লেখো || মাধ্যমিক ভূগোল পঞ্চম অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর

আজকের এই ব্লগের মাধ্যমে আমরা ক্লাস টেনের ভূগোল ( wb class 10 geography ) পঞ্চম অধ্যায় ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক ( wb class 10 geography question answer chapter 5 ) এর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় " মৃত্তিকা সংরক্ষণ কাকে বলে?? মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধের উপায় বা সংরক্ষণের উপায় গুলি " সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো। এবং আশাকরবো যে, মৃত্তিকা সংরক্ষণ কাকে বলে?? মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধের উপায় বার সংরক্ষণের উপায় গুলি কী কী? - এই প্রশ্নটি নিয়ে তোমাদের যেন আর কোনো অসুবিধায় না পরতে হয়।।

মৃত্তিকা সংরক্ষণ কাকে বলে?? মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধের উপায় বা সংরক্ষণের উপায় গুলি লেখো 

উওরঃ যে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মৃওিকা ক্ষয়কে সম্পূর্ণ বা  কিছুটা রোধ করা যায়, তাকে মৃত্তিকা সংরক্ষণ বলে। আমরা জানি যে, একাধিক ভাবে মৃওিকা ক্ষয় হয়ে থাকে। মৃত্তিকা ক্ষয়ের পেছনে যেমন একাধিক কারণ রয়েছে, ঠিক তেমনি মৃত্তিকা সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও একাধিক পদ্ধতি রয়েছে। সেই পদ্ধতিগুলি গ্রহণ করার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ভাবে মৃত্তিকা সংরক্ষণ বা মৃত্তিকা ক্ষয় রোধ করতে পারি। যেমন - 

বৃক্ষরােপণঃ উদ্ভিদ শিকড় একদিকে যেমন মৃত্তিকাকে ধরে রাখতে পারে অপরদিকে তেমনি উদ্ভিদ মৃত্তিকার ওপর আচ্ছাদনের কাজ করে বলে বৃষ্টিবিন্দুর আঘাতজনিত গতিশক্তির আঘাত থেকে মাটিকে রক্ষা করে। এজন্য বনভূমি নষ্ট না করে প্রয়ােজনমতাে নতুন চারাগাছ লাগিয়ে বনভূমির সৃষ্টি, মৃত্তিকা ক্ষয়কে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।

ধাপ চাষঃ পার্বত্য অঞ্চলে জমির ঢালের আড়াআড়ি ভাবে ধাপ তৈরি করা হয় এবং ফসলের সারি আড়াআড়িভাবে লাগানাে হয়। ধাপগুলি দেখতে অনেকটা অর্ধচন্দ্রাকার হয়। এক্ষেত্রে জল সরাসরি গড়িয়ে পড়তে পারে না বলে মৃত্তিকা ক্ষয়ের পরিমাণও

কম হয়।

সমােন্নতি রেখা বরাবর চাষঃ কোনাে বিস্তৃত পার্বত্য অঞলে উঁচুনীচু এলাকার সমান উচ্চতাযুক্ত বিন্দুগুলিকে যােগ করে যে রেখা পাওয়া যায়, তাকে সমালি রেখা বলে) ওই রেখা বরাবর ৪- 9 ফুট উঁচুতে এমনভাবে বাঁধ দেওয়া হয় যাতে দুটি বাঁধের মধ্যবর্তী ভূমি থেকে জল বের হতে না পারে। এভাবে বাঁধ দেওয়ার ফলে মৃত্তিকার ক্ষয়কে ব্যাপক আকারে রােধ করা সম্ভব। এবং এই পদ্ধতিতে চাষ আবাদ করাকে উচ্চতা অনুসারে চাষ বলে।

ফালি চাষঃ পাহাড়ি অঞ্চলে ছােটো ছােটো পাহাড়ি মাটিতে পাহাড়ের ঢাল অনুসারে কয়েক সারি শস্যের অন্তর অন্তর ঢাল বরাবর আড়াআড়িভাবে একখণ্ড জমিতে শস্য চাষ করার নামই ফালি চাষ।।  এভাবে ফালি চাষের মাধ্যমেও মৃওিকা ক্ষয় রোধ করা হয়।।

গালি চাষঃ যেসব এলাকার মৃত্তিকা নরম ও আলগা সেইসব এলাকায় মাঝে মাঝে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ঘটলে সেখানে গালি বা খাত ক্ষয় সর্বাধিক হয়) এই গলি ক্ষয় রােধের জন্য যে যে কৌশল গ্রহণ করা হয় তা হল— খাতের সর্বোচ্চ অঞ্চলে ক্ষয়রােধ করার জন্য মৃত্তিকা প্রাচীর নির্মাণ ও তার পেছনে বৃক্ষরােপণ করলে মাটির ক্ষয় কমে।

ঝুমচাষ রােধঃ বনভূমি পুড়িয়ে নষ্ট করে চাষ করলে মৃত্তিকা ক্ষয় বেড়ে যায়। এজন্য ঝুমচাষ নিষিদ্ধ করা প্রয়ােজন।

এছাড়াও অতিরিক্ত পশুচারন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে,  নদীর উপর বাঁধ দিয়ে এবং শেল্টার বেল্ড পদ্ধতির মাধ্যমে মৃত্তিকা সংরক্ষণ করা যায়।।

Tags :

ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস টেন ভূগোল প্রশ্ন উত্তর | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর | wb class 10 geography question answer | class 10 geography suggestion | class 10 geography notes

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top