গ্রাবরেখা অথবা মোরেন কাকে বলে? গ্রাবরেখা কিভাবে সৃষ্টি হয়? | গ্রাবরেখা কত প্রকার ও কী কী?
বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর |
আজকের বিষয় :
• গ্রাবরেখা অথবা মোরেন কাকে বলে?
• গ্রাবরেখা কিভাবে সৃষ্টি হয়?
• গ্রাবরেখা কত প্রকার ও কী কী?
গ্রাবরেখা অথবা মোরেন কাকে বলে? গ্রাবরেখা কিভাবে সৃষ্টি হয়? | গ্রাবরেখা কত প্রকার ও কী কী?
উও : গ্রাবরেখা অথবা মোরেন হলো, হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত এক প্রকার ভূমিরূপ। হিমবাহ তার উপত্যাকা বেয়ে নিচে নামতে থাকার সময়, উষ্ণতা বেশি হওয়ার জন্য যখন গলতে শুরু করে, তখন হিমবাহ তার উপত্যাকায়,বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষয় ও বহন করা বিভিন্ন পদার্থ গুলি হিমবাহের গতিপথে বিভিন্ন স্থানে সঞ্চয় করতে শুরু করে। এভাবে হিমবাহ সেই পদার্থ গুলি সঞ্চয় করার মাধ্যমে, তার উপত্যকায় বিভিন্ন রেখার সৃষ্টি হয়। এভাবে হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত রেখাগুলিকে গ্রাবরেখা অথবা মোরেন বলে।।
গ্রাবরেখা কত প্রকার ও কী কী?
গ্রাবরেখা প্রধানত তিন প্রকারের হয়ে থাকে। যথা পার্শ্ব গ্রাবরেখা, মধ্য গ্রাবরেখা, এবং প্রান্ত গ্রাবরেখা।
পার্শ্ব গ্রাবরেখাঃ হিমবাহ যখন গলতে শুরু করে, তখন হিমবার তার সাথে বহন করে নিয়ে আসা পদার্থ গুলি যখন হিমবাহ উপত্যকার দুইপাশে সঞ্চয় করার ফলে যে গ্রাবরেখা গড়ে ওঠে,পার্শ্ব গ্রাবরেখা বলে।
মধ্য গ্রাবরেখাঃ যখন দুটি ভিন্ন উপত্যাকায় দুটি হিমবাহ পাশাপাশি প্রবাহিত হয়,এবং যখন সেই দুটি হিমবাহ গলতে শুরু করে, তখন সেই দুটি হিমবাহ তাদের বাহিত পদার্থ গুলি তাদের মিলন স্থল বা তার শেষে সঞ্চয় করার ফলে যে গ্রাবরেখা সৃষ্টি হয়, তাকে মধ্য গ্রাবরেখা বলে।
প্রান্ত গ্রাবরেখাঃ যেখানে হিমবাহ টি সম্পূর্ণরূপে গলে যায়, অর্থাৎ যেখানে গলে গিয়ে জলে পরিণত হয়, সেখানে হিমবাহ বিভিন্ন সমস্ত পদার্থ সঞ্চয় করে যে গ্রাবরেখা সৃষ্টি করে, তাকে প্রান্ত গ্রাবরেখা বলে।। এছাড়াও, গ্রাবরেখার আরও কয়েকটি ভাগ রয়েছে। যেমন -
• ভূমি গ্রাবরেখাঃ হিমবাহের তলদেশে পদার্থ সঞ্জিত হয়ে সৃষ্ট গ্রাবরেখা হল ভূমি গ্রাবরেখা।
• অবিন্যস্ত গ্রাবরেখাঃ হিমবাহের অগ্রভাগে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত গ্রাবরেখা হল অবিন্যস্ত গ্রাবরেখা।
• বলয়ধর্মী গ্রাবরেখাঃ বলয়াকারে সঞ্চিত গ্রাবরেখা হল বলয়ধর্মী গ্রাবরেখা।
• স্তরায়িত গ্রাবরেখাঃ সমুদ্রের তলদেশে সঞ্চিত গ্রাবরেখাকে স্তরায়িত গ্রাবরেখা বলে।
Tags :