রসেমতানে ও ড্রামলিন কাকে বলে? রসেমতানে ও ড্রামলিনের পার্থক্য লেখো | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর
বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর |
আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা
ক্লাস টেনের ভূগোল প্রথম অধ্যায়
"বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ " এর কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন- " রসেমতানে কাকে বলে?, ড্রামলিন কাকে বলে?, রসেমতানে ও ড্রামলিনের পার্থক্য লেখো। বা, রসে মতানে ও ড্রামলিনের মধ্যে পার্থক্য কী??" এর উওর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।।
Table Of Contents
• রসেমতানে কাকে বলে?
• ড্রামলিন কাকে বলে?
• রসেমতানে ও ড্রামলিনের পার্থক্য লেখো। বা, রসে মতানে ও ড্রামলিনের মধ্যে পার্থক্য কী??
রসেমতানে ও ড্রামলিনের পার্থক্য লেখো। বা, রসে মতানে ও ড্রামলিনের মধ্যে পার্থক্য কী??
উওর : রসেমতানে ও ড্রামলিন হলো হিমবাহের দুটি ভিন্ন প্রক্রিয়ার দ্বারা গঠিত দুটি আলাদা প্রকৃতির ভূমিরূপ। দুটি ভূমিরূপ সম্পূর্ণরূপে আলাদা হওয়ায়, আমরা রসেমতানে এবং ড্রামলিনের মধ্যে একাধিক রকমের পার্থক্য দেখতে পাই। যেমন -
রসে মতানে ও ড্রামলিনের মধ্যে পার্থক্য -
◆ সংজ্ঞাঃ
• হিমবাহ দ্বারা বাহিত বিভিন্ন পদার্থ যেমন বালি, কাঁকর,নুড়ি এসব কোন একটি জায়গায় সঞ্চয় এর মাধ্যমে উল্টানো নৌকার ভূমিরূপ এর সৃষ্টি করে। হিমবাহ সঞ্চয় দ্বারা গঠিত এরুল ভূমিরূপকে ড্রামলিন বলে।।
যখন অনেকগুলি ড্রামলিন একসাথে অবস্থান করে তখন তাকে দেখতে অনেকটা ডিম ভরতি ঝুড়ির মতো মনে হয়।। এজন্য একে ডিমের ঝুড়ি বলা হয়।
• হিমবাহের গতিপথে বা প্রবাহ পথে কোনো উঁচু শিলাখণ্ড টিভির আকারে অবস্থান করলে, সেই প্রস্তরখন্ডটি হিমবাহের প্রবাহের দিকে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় এবং হিমবাহ প্রবাহের বিপরীত দিকে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ক্ষয় হতে হতে এবড়ো খেবড়ো ও ফাটল যুক্ত ভূমিরূপে পরিণত হয়।। হিমাবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে গঠিত এরূপ ভূমিরূপকে রসেমতানে বলে।।
◆আকৃতিঃ
• হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত
ড্রামলিনের আকৃতি হয় অনেকটা উল্টানো নৌকার মতো।
• অন্যাদিকে. হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত রসেমতানের আকৃতি হয় অনেকটা ঢিবির ন্যায়।
◆গঠন উপাদানঃ
• রসেমতানে প্রধানত কঠিন শিলা দিয়ে গঠিত হয়।
• ড্রামলিন সৃষ্টি হয় হিমবাহ বাহিত নুড়ি বালি,কাঁকর ইত্যাদি দিয়ে।
◆প্রকৃতিঃ
• রসেমতানের হিমবাহ প্রবাহের দিকটি মসৃণ এবং বিপরীত দিকটি অমশৃন প্রকৃতির হয়।
• ড্রামলিনের হিমবাহ প্রবাহের দিকে অমসৃণ এবং বিপরীত দিকটি মশৃন প্রকৃতির।
Tags :