বহুরূপী গল্পের বড় প্রশ্ন উওর |
আজকে আমরা ক্লাস টেনের বহুরূপী গল্পের বড় প্রশ্ন উওর হিসেবে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের-উত্তর শেয়ার করবো। প্রশ্নটি হল - " তাতে যে আমার রঙ নষ্ট হয়ে যায় " - বক্তা কে?এই উক্তিটির মাধ্যমে বক্তা কোন সত্যের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন তা আলোচনা করো
তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়। " - বক্তা কে? এই উক্তির মাধ্যমে বক্তা কোন সত্যের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন?
উওর : সুবোধ ঘোষের রচিত বহুরূপী গল্প থেকে এই উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে। এই বক্তব্যটি হলো বহুরূপী গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র পেশায় বহুরূপী হরিদার।
গল্পের শুরুর দিকে দেখা যায়, হরিদার চায়ের দোকানে বসে থাকা অনাদি, ভবতোষ এবং গল্পকথক হঠাৎ করেই হরিদার কাছে এক সন্ন্যাসীর বিষয়ে বলেন,যে কিছুদিন আগেই জগদীশ বাবুর বাড়িতে এসেছিল। সন্ন্যাসী ফিরে যাওয়ার সময় জগদীশবাবু তার ঝোলে ভেতরের 100 টাকার নোট ফেলে দেন। সন্ন্যাসী সেটা দেখেন এবং একটু মুচকি হেসে তিনি চলে যান। এই ঘটনার শোনার পর হরিদা একটু ভাবেন। এবং এরপর তিনি একজন প্রকৃত সন্ন্যাসী বা বিরাগী কেমন হয়,বা তার চরিত্র কেমন হওয়া উচিত,সেটা দেখানোর জন্য তাদের সেই সন্ধ্যায় জগদীশ বাবুর বাড়িতে যেতে বলেন।
আমাদের গ্রুপে জয়েন করতে ক্লিক করো👇
এখানে ক্লিক করো
হরিদাএ কথামতো এবং স্পোর্টসের চাঁদা কাটার জন্য গল্প কথক এবং তার বন্ধুরা জগদীশ বাবুর বাড়িতে এসে হাজির হয়। সেই সন্ধ্যায় অদ্ভুতভাবে জগদীশ বাবুর বাড়িতে এসে হাজির হন এক বিরাগী যার, আবির্ভাব সেই অপরূপ সন্ধ্যায় এক অদ্ভুত পরিবেশের সৃষ্টি করেছিল। 11 লক্ষ টাকার সম্পত্তির মালিক জগদীশবাবু বিরাগীর প্রতি মুগ্ধ হয়ে তিনি খুশি হয়ে তাকে 100 টাকার নোট প্রণামী হিসেবে দিতে চান। কিন্তু বিরাগী সেই 100 টাকা না নিয়েই ফিরে আসেন। পরবর্তীকালে গল্পকথক এবং তার বন্ধুরা জানতে পারে,জগদীশ বাবুর বাড়িতে যাওয়া সেই বিরাগী আর কেউ নন,তিনি হলেন হরিদা। কিন্তু গল্পকথক এবং তার বন্ধুরা তাকে জিজ্ঞেস করেন যে সেই হরিদা কেন সেই 100 টাকা নিলেন না। তখন হরিদা এই উক্তিটির মাধ্যমে তাদের এটা বোঝানোর চেষ্টা করেন, হরিদা হলেন একজন বহুরূপী। তিনি তার পেশাকে যথেষ্ট ভালোবাসেন এবং শ্রদ্ধা করেন। তিনি যেহেতু একজন বিরাগী সেজেছিলেন,তাই তার কোনো টাকার প্রতি লোভ থাকা চলে না। যদি তখন হরিদা বিরাগীর বেশে জগদীশবাবুর কাছ থেকে 100 টাকা নিতেন,তাহলে একজন সত্যিকারের বিরাগীর চরিত্র নষ্ট হয়ে যেত। কারণ তারাই বলেন বিরগী, যারা সংসারের সকল প্রকার লোভ থেকে মুক্ত। তাই একজন বিবাগী হয়ে কিছুতেই কারো কাছ থেকে টাকা বা প্রণামী নেওয়া যায় না। এবং হরিদা তার বহুরূপী পেশায়, বিরাগী চরিত্রের মাধ্যমে এই কথাটাই বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন যে, একজন সত্তিকারের সন্ন্যাসী বা বিরাগী কখনোই টাকার প্রতি লোভ করতে পারেন না। এবং তিনি যদি একজন বিরাগীর সাজে টাকা নিতেন,তাহলে বিরাগীর চরিত্র ঢং নষ্ট হয়ে যেত। এবং সেকারণেই হরিদা এই মন্তব্যটি করেছিলেন যে- " তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায় "।
আমাদের গ্রুপে জয়েন করতে ক্লিক করো👇
এখানে ক্লিক করো
Tags :