Class 11 Philosophy Question and Answer 2022 || সন্নিকর্ষ কাকে বলে? লৌকিক সন্নিকর্ষ কাকে বলে?? লৌকিক সন্নিকর্ষ কত প্রকার ও কি কি?

0

সন্নিকর্ষ কাকে বলে? লৌকিক সন্নিকর্ষ কাকে বলে?? লৌকিক সন্নিকর্ষ কত প্রকার ও কি কি? || একাদশ শ্রেণীর দর্শন " ন্যায় দর্শনের " বড় প্রশ্ন উত্তর

সন্নিকর্ষ কাকে বলে? লৌকিক সন্নিকর্ষ কাকে বলে?? লৌকিক সন্নিকর্ষ কত প্রকার ও কি কি? || একাদশ শ্রেণীর দর্শন " ন্যায় দর্শনের " বড় প্রশ্ন উত্তর
wb class 11 philosophy question answer 2022

আজকের এই ব্লগ পোষ্টের মাধ্যমে আমরা একাদশ শ্রেণীর ভারতীয় দর্শন চতুর্থ অধ্যায় ( wb class 11 philosophy question and answer 2022 ) " ন্যায় দর্শন " এর একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন " সন্নিকর্ষ কাকে বলে? লৌকিক সন্নিকর্ষ কাকে বলে?? লৌকিক সন্নিকর্ষ কত প্রকার ও কি কি?, বা  "সন্নিকর্ষ কাকে বলে?, লৌকিক সন্নিকর্ষ কাকে বলে, সংযোগ সন্নিকর্ষ কাকে বলে?, সংযুক্ত সমবায় সন্নিকর্ষ কাকে বলে?, সংযুক্ত সমবেত সমবায় সন্নিকর্ষ কাকে বলে, সমবায় সন্নিকর্ষ কাকে বলে?, সমবেত সমবায় কাকে বলে, বিশেষণ বিশেষ্য সন্নিকর্ষ কাকে বলে? " ইত্যাদি বিষয়গুলি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো। 

আজকের বিষয়ঃ

• সন্নিকর্ষ কাকে বলে?

• লৌকিক সন্নিকর্ষ কাকে বলে লৌকিক সন্নিকর্ষ কত প্রকার ও কি কি?

• সংযোগ সন্নিকর্ষ কাকে বলে?

• সংযুক্ত সমবায় সন্নিকর্ষ কাকে বলে?

• সংযুক্ত সমবেত সমবায় সন্নিকর্ষ কাকে বলে?

• সমবায় সন্নিকর্ষ কাকে বলে?

• সমবেত সমবায় কাকে বলে

সন্নিকর্ষ কাকে বলে? 

• বিশেষণ বিশেষ্য সন্নিকর্ষ কাকে বলে? 

সন্নিকর্ষ কাকে বলে? 

উওরঃ সন্নিকর্ষ কথার অর্থ হল সম্বন্ধ।খুব সাধারন ভাবে সন্নিকর্ষ বলতে বোঝায়, আমাদের বিভিন্ন অঙ্গের সঙ্গে কোনো বিষয় বা দ্রব্যের যে সম্বন্ধ বা সংযোগ ঘটে, তাই হলো সন্নিকর্ষ। 

যেমন - 

• আমাদের নাসিকা ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে ফুলের সুগন্ধে সম্বন্ধ। 

• আমাদের চক্ষু ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে ফুলের বর্ণের সম্পর্ক।

• অর্থাৎ সন্নিকর্ষ বলতে বোঝায় যে ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে যেই বিষয়ের সম্বন্ধে বা সংযোগ রয়েছে।।

লৌকিক সন্নিকর্ষঃ

ন্যায় দর্শন মতে কোনো ইন্দ্রিয়ের নিকটবর্তী নিজ নিজ বিষয়ের সঙ্গে নিজ নিজ ইন্দ্রিয়ের যে সন্নিকর্ষ অথবা সম্বন্ধ হয়, তাকেই বলে লৌকিক সন্নিকর্ষ।।

লৌকিক সন্নিকর্ষ ছয় প্রকার। যথা -

 • সংযোগ, সংযুক্ত সমবায়, সংযুক্ত সমবেত সমবায়, সমবেত সমবায় এবং বিশেষণ বিশেষ্য ভাব।

সংযোগ সন্নিকর্ষঃ আমাদের বাহ্য ইন্দ্রিয়গুলোর মধ্যে শুধুমাত্র চক্ষ  মাধ্যমেই বিভিন্ন দ্রব্য বা বিষয়ের প্রত্যক্ষ জ্ঞান জন্মায়। খুব সংক্ষেপে সংযোগ সন্নিকর্ষ বলতে আমাদের চক্ষু এবং মাধ্যমে কোনো বিষয় বা দ্রব্যের প্রত্যক্ষের ফলে প্রথমবারের জন্য যে জ্ঞান জন্মায়,তাই হল সংযোগ সন্নিকর্ষ।। যেমন- প্রথমবারের জন্য যখন আমরা কলম, বই বা ঘটকে দেখি,তখন যেই জ্ঞান হয় তাই হলো সংযোগ সন্নিকর্ষ।।


সংযুক্ত সমবায় সন্নিকর্ষঃ সংযুক্ত সমবায় সন্নিকর্ষ হল সংযোগ সন্নিকর্ষের পরের ধাপ। সংযোগ সন্নিকর্ষে আমরা কোনো কিছুর প্রত্যক্ষ করি। এবং সংযুক্ত সমবায় সন্নিকর্ষে  আমরা সেই প্রত্যক্ষ করা বিষয় বা দ্রব্যে সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করি। সুতরাং সংযোগ সন্নিকর্ষে আমাদের শুধুমাত্র কোনো দ্রব্য বা বিষয়ের সঙ্গে সংযোগ ঘটে এবং সংযুক্ত সমবায় সন্নিকর্ষে আমরা সেই দ্রব্য বা বিষয়ের রূপ, গুণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারি।।

যেমন - একটি লাল ইট। 

এখানে লাল হচ্ছে তার রুপ।। 

সংযুক্ত সমবেত সমবায় সন্নিকর্ষঃ সংযুক্ত সমবেত সমবায় সন্নিকর্ষ হলো সেই প্রকার সন্নিকর্ষ, যেই প্রকার সন্নিকর্ষে কোনো দ্রব্য বা বিষয়ের রুপত্ব জাতির সংযোগ বা সম্বন্ধ হয়।। এখন রূপতত্ত্ব জাতি বলতে স্বরুপ বা সামান্য ধর্মকে বোঝায়।। 

যেমন - ঘটত্ব হলো ঘট জাতির সামান্য লক্ষন। গরুত্ব হল গরু জাতি সামান্য ধর্ম। এবং গোত্ব ধর্ম পৃথিবীর সকল গরুতেই বর্তমান থাকবে। যখন আমরা একটি গরুকে এই ভাবে জানি - "এটি একটি গরু " -  তখন শুধুমাত্র আমরা গোরুকে প্রত্যক্ষ করি না।  তখন সেই সঙ্গে গরুর গোত্ব সামান্য ধর্মটিও প্রত্যক্ষ করি।  ওই একই গোত্ব পৃথিবীর সকল অন্যান্য গরুতে বতর্মান থাকায়, এই গোত্বের মাধ্যমে আমরা সমস্ত গরুকে প্রত্যক্ষ করে থাকি।।

সমবায় সন্নিকর্ষঃ সমবায় সন্নিকর্ষ বলতে আমাদের কর্ণ ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে যকোনো ধরনের শব্দের সন্নিকর্ষ অথবা সংযোগকে বোঝায়।। 

সমবেত সমবায়ঃ সমবেত সমবায় বলতে কর্ণ ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে শব্দ এবং শব্দের শব্দত্ব সামান্য ধর্মের সমন্ধ সন্নিকর্ষকে বোঝায়।।

যখন আমরা কর্ণের সাহায্যে কোনো শব্দকে প্রত্যক্ষ করি, তখন শুধুমাত্র সেই শব্দকে প্রত্যক্ষ করি না। সেই সঙ্গে সঙ্গে সেই শব্দের শব্দত্ব সামান্য ধর্মকেও প্রত্যক্ষ করি।।


আরও পড়ুন👇👇


বিশেষণ বিশেষ্যভাব সন্নিকর্ষঃ যেই প্রকার সন্নিকর্ষে আমরা কোনো কিছুর ক্ষেত্রে কোনো অভাবকে প্রত্যক্ষ করছি, তখন তাকে বিশেষণ বিশেষ্যভাব সন্নিকর্ষ বলা হয়। অভাব বলতে এমন কিছুকে বোঝায়, যার অস্তিত্ব নেই। কিন্তু এই অভাব হচ্ছে একটা বাস্তব পদার্থ।। যখন আমরা  ভূতলে একটি ঘটের অভাব প্রত্যক্ষ করি,তখন আমার চোখরুপ ইন্দ্রিয় ভূতলের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। এক্ষেত্রে ভূতল হচ্ছে বিশেষ্য যার নাম রয়েছে। এবং ঘটাবাক হচ্ছে বিশেষণ যা বিশেষ্যের ওপর আরোপ করা হয়েছে।। তাই ন্যায় দর্শন মতে যখন আমরা কোনো কিছু ক্ষেত্রে অভাব প্রত্যক্ষ করবো, তখ ই বিশেষ্য বিশেষণের  সন্নিকর্ষ হবে।।


আশাকরি যে, আজকের এই ব্লগ পোস্ট থেকে একাদশ শ্রেণীর ভারতীয় দর্শন চতুর্থ অধ্যায় ( wb class 11 philosophy question and answer 2022 ) ন্যায় দর্শন " এর একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন " সন্নিকর্ষ কাকে বলে? লৌকিক সন্নিকর্ষ কাকে বলে?? লৌকিক সন্নিকর্ষ কত প্রকার ও কি কি? এর উওর পেয়ে গেছো। যদি আজকের এই ব্লগ পোস্টটি তোমাদের ভালো লাগে, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য ব্লগ পোস্ট গুলো পড়ে দেখো।।

Tags: 

একাদশ শ্রেণির ন্যায় দর্শন বড় প্রশ্ন উওর | ক্লাস xi ন্যায় দর্শন বড় প্রশ্ন উওর | ক্লাস 11 ন্যায় দর্শন 8 মার্কের প্রশ্ন উওর | ক্লাস 11 ভারতীয় দর্শনের বড় প্রশ্ন উওর | ক্লাস xi দর্শন চতুর্থ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর |  ক্লাস 11 দর্শন নোট | ক্লাস ইলেভেন দর্শন বড় প্রশ্ন উত্তর | class 11 philosophy question answer | wb class 11 philosophy Notes | class 11 philosophy suggestion | class 11 philosophy suggestion 2022

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top