অলৌকিক সন্নিকর্ষ কাকে বলে? অলৌকিক সন্নিকর্ষ কত প্রকার ও কি কি || একাদশ শ্রেণীর দর্শন " ন্যায় দর্শনের " বড় প্রশ্ন উত্তর
![]() |
Class 11 Philosophy Question And Answer 2022 |
আজকের বিষয়ঃ
• অলৌকিক সন্নিকর্ষ কাকে বলে?
• অলৌকিক সন্নিকর্ষ কত প্রকার ও কি কি
• সামান্য লক্ষণ সন্নিকর্ষ কাকে বলে?
• জ্ঞান লক্ষণ সন্নিকর্ষ কাকে বলে?
• যোগজ সন্নিকর্ষ কাকে বলে?
• অলৌকিক সন্নিকর্ষ কত প্রকার ও কি কি
• সামান্য লক্ষণ সন্নিকর্ষ কাকে বলে?
• জ্ঞান লক্ষণ সন্নিকর্ষ কাকে বলে?
• যোগজ সন্নিকর্ষ কাকে বলে?
অলৌকিক সন্নিকর্ষ কাকে বলে? অলৌকিক সন্নিকর্ষ কত প্রকার ও কি কি
অলৌকিক সন্নিকর্ষঃ
অলৌকিক সন্নিকর্ষ বলতে সেই প্রকারের সন্নিকর্ষ বা সম্বন্ধেকে বোঝায়- যা অনেক সময় আমাদের ইন্দ্রিয়ের নিকটবর্তী নয় বা ইন্দ্রিয় দ্বারা গ্রহণযোগ্য নয়, কিন্তু তবুও আমরা তাদের প্রত্যক্ষ করি।। এরূপ প্রত্যকের পিছনে কোনো না কোনো সন্নিকর্ষ অবশ্যই থাকবে। কারণ সন্নিকর্ষ ছাড়া প্রত্যক্ষ হয় না। ন্যায় দর্শন মতে এরূপ সন্নিকর্ষকেই অলৌকিক সন্নিকর্ষ বলা হয়।
ন্যায় মতে অলৌকিক সন্নিকর্ষ হল তিন প্রকার।
যথা -
• সামান্য লক্ষণ সন্নিকর্ষ
• জ্ঞান লক্ষণ সন্নিকর্ষ হয়
• যোগজ সন্নিকর্ষ।
সামান্য লক্ষণ সন্নিকর্ষঃ সামান্য লক্ষন সন্নিকর্ষ সামান্য ধর্ম অথবা সামান্য লক্ষণ প্রত্যেকের উপর নির্ভরশীল। তাই যে সন্নিকর্ষের স্বরুপ বা লক্ষণ সামান্য ধর্ম হয় তাকে, সামান্য লক্ষণ সন্নিকর্ষ বলে।।
যেমন - মনুষ্যত্ব হল মানব জাতি সামান্য ধর্ম। এবং মনুষ্যত্ব ধর্ম পৃথিবীর সকল মানবেই বর্তমান থাকবে। যখন আমরা একটি মানবকে এই ভাবে জানি - "এটি একটি মানব " - তখন শুধুমাত্র আমরা সেই মানবকে প্রত্যক্ষ করি না। তখন সেই সঙ্গে মানবের মনুষ্যত্ব সামান্য ধর্মটিও প্রত্যক্ষ করি। ওই একই মনুষ্যত্ব পৃথিবীর সকল অন্যান্য মানবে বতর্মান থাকায়, এই মনুষ্যত্বের মাধ্যমে আমরা সমস্ত মানবকে প্রত্যক্ষ করে থাকি।।
## এই নোটের PDF File ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করো👇
Download PDF
জ্ঞানলক্ষণ সন্নিকর্ষঃ জ্ঞানলক্ষণ সন্নিকর্ষ হলো সেই প্রকার সন্নিকর্ষ,যেই প্রকার সন্নিকর্ষে কোনো ইন্দ্রিয়ের দ্বারা কোনো দ্রব্য বা বিষয়ের প্রত্যক্ষ হয়না। কিন্তু পূর্ববর্তী জ্ঞানের সাহায্যে ইন্দ্রিয়ের সাহায্য সেই দ্রব্য বা বিষয়কে প্রত্যক্ষ করি।। এবং তার ফলে যে প্রত্যক্ষ উৎপন্ন হয়, তাকে বলে জ্ঞানলক্ষন সন্নিকর্ষ।।
যেমন -
আমরা যখন অনেক দূর থেকে দেখে বলি- ওই যে সুগন্ধি চন্দন কাঠ।
তখন আমরা দূর থেকে সেই চন্দন কাঠ কে দেখে তার সুগন্ধ বুঝতে পারি না। কারণ চোখের সঙ্গে সুগন্ধের কোনো সন্নিকর্ষ হয়না। কিন্তু পূর্বে নাসিকা ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে চন্দন কাঠের সুগন্ধের সন্নিকর্ষ হয়েছিল। তাই আমাদের এখানে পূর্ববর্তী জ্ঞান রয়েছে। পরবর্তীতে যখন চক্ষু ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে চন্দনকাঠের সংযুক্ত সমবায় সন্নিকর্ষ হয়েছে, তখ এই দুই প্রকার সন্নিকর্ষের মিলনে মাধ্যমে জ্ঞানলক্ষণ সন্নিকর্ষ উৎপন্ন হয়েছে।।
যোগজ সন্নিকর্ষঃ যোগজ সন্নিকর্ষ বলতে বিভিন্ন যোগী অথবা সিদ্ধপুরুষদের বিভিন্ন সন্নিকর্ষকে বোঝায়। একযোগে সাধণার মাধ্যমে এমন কিছু ক্ষমতা অর্জন করেন যার মাধ্যমে তারা অতীত, বতর্মান এবং ভবিষ্যতের বিভিন্ন দূরবর্তী অতি সূক্ষ্ম পদার্থের প্রত্যক্ষ করতে পারেন।
Tags: