বিবর্তন কাকে বলে? বিবর্তনের নিয়ম গুলি লেখ |
প্রশ্নঃ বিবর্তন কাকে বলে?
উওরঃ যে অমাধ্যম মনুমানের ক্ষেত্রে যুক্তি বাক্যের উদ্দেশ্য পদটি সিদ্ধান্ত বাক্যে উদ্দেশ্য এবং যুক্তি বাক্যের বিধেয় পদের বিরুদ্ধ পদটি সিদ্ধান্ত বাক্যের বিধেয় হিসেবে গ্রহণ করে, যুক্তি বাক্যের গুণ পরিবর্তন করে, যুক্তি বাক্য এবং সিদ্ধান্ত বাক্যেরও অর্থ এক রাখা হয়, সেই অনুমান প্রক্রিয়া কেই বিবর্তন বলা হয়। বিবর্তনের ক্ষেত্রে যুক্তিবাক্যকে বিবর্তনীয় এবং সিদ্ধান্ত বাক্যকে বিবর্তিত বলা হয়।।
যেমন-
▪ সকল মানুষ হয় মরণশীল। (বিবর্তনীয়)
▪ কোনো মানুষ নয় অ-মরণশীল। (বিবর্তিত)
বিবর্তনের নিয়মাবলি (Rules of Obversion):-
আবর্তন প্রক্রিয়ার মতো বিবর্তন প্রক্রিয়াকেও যথাযথভাবে বিচার করার জন্য তর্কবিজ্ঞানীরা চারটি নিয়মের উল্লেখ করেছেন। এই নিয়মগুলি হল যথাক্রমে—
▪ যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য এক হবে।
▪ যুক্তিবাক্যের বিধেয়র বিরুদ্ধ পদ সিদ্ধান্তের বিধেয় হবে। (বিধেয় পদের সঙ্গে ‘অ’ যোগ করে বিরুদ্ধ পদ সৃষ্টি করতে হয়।)
▪ যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ ভিন্ন হবে। অর্থাৎ, যুক্তিবাক্য যদি সদর্থক (হ্যাঁ বাচক) হয়, তবে সিদ্ধান্ত নঞর্থক (না বাচক) হবে এবং যুক্তিবাক্য যদি নঞর্থক হয়, তবে সিদ্ধান্ত সদর্থক হবে।
▪ যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ এক হবে। অর্থাৎ, সামান্য হলে উভয় বচনই সামান্য হবে এবং বিশেষ হলে উভয় বচনই বিশেষ হবে।
প্রশ্নঃ বস্তুগত বিবর্তন কাকে বলে?
উওরঃ যে অমাধ্যম হনুমানের ক্ষেত্রে যুক্তি বাক্যের উদ্দেশ্য পদের বিরুদ্ধ পদকে সিদ্ধান্ত পদের উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয় এবং যুক্তি বাক্যের বিধেয় পদের অন্তর্গত বিরুদ্ধ পদকে সিদ্ধান্তের বিধেয়রূপে স্বীকার করা হয়, সেই অনুমান প্রক্রিয়াকেই বস্তুগত বিবর্তন বলে।।
যেমন-
▪ জ্ঞান হলো শক্তি (বিবর্তনীয়)
▪ অজ্ঞানতা হলো দুর্বলতা (বিবর্তিত)