বচন কাকে বলে? গুণ,পরিমাণ এবং সম্বন্ধ অনুসারে বচনের শ্রেণীবিভাগ || Class 12 Philosophy Notes

0

 

বচন কাকে বলে? গুণ,পরিমাণ এবং সম্বন্ধ অনুসারে বচনের শ্রেণীবিভাগ || Class 12 Philosophy Notes


আজকের বিষয়ঃ- 

• বচন কাকে বলে? 
• সদর্থক বা হ্যাঁ বাচক বচন কাকে বলে?
• নঞর্থক বচন বা না বাচক বচন কাকে বলে?
• সামান্য বা সার্বিক বচন কাকে বলে?
• বিশেষ বচন কাকে বলে
• নিরপেক্ষ বা শর্তহীন বচন কাকে বলে?
• সাপেক্ষ বা শর্ত যুক্ত বচন কাকে বলে?


বচন কাকে বলে? গুণ,পরিমাণ এবং সম্বন্ধ অনুসারে বচনের শ্রেণীবিভাগ || Class 12 Philosophy Notes

বচন কাকে বলে? 

উওরঃ বচন বলতে মূলত একটি ঘোষক বাক্য বা একটি বিবৃতিমূলক বাক্যকে বোঝায়,  যেখানে উদ্দেশ্য পদ সম্পর্কে বিধেয় পদে কোনো কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করে নেওয়া হয়। 

অথবা, 

আমাদের মানসিক চিন্তা যখন ভাষার সাহায্যে প্রকাশ করা হয় তখন তাকে বাক্য বলে। এই বাক্যের পরিশ্রুত এবং তর্ক বিজ্ঞানসম্মত রূপকেই বলা হয় বচন। 

এই বচনকে তার গুণ,পরিমাণ এবং সম্বন্ধ অনুসারে ভাগ করা হয়। যেমন- 

গুণ অনুসারে বচনের শ্রেণীবিভাগ:- 

বচনের গুন বলতে হ্যা বাচক বা না বাচক দিকটিকে বোঝানো হয়। গুণ অনুসারে বচনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- সদর্থক বা হ্যাঁ বাচক বচন এবং না বাচক অথবা নঞর্থক।

সদর্থক বচন বা হ্যাঁ বাচক বচনঃ- 

যেই প্রকার বচনে উদ্দেশ্য পদে যা কিছু বলা হয়, তা যদি বিধেয় পদে স্বীকার করে নেওয়া হয়,তখন তাকে সদর্থক বচন বা হ্যাঁ বাচক বচন বলা হয়। 

যেমন- সকল মানুষ হয় মরণশীল। এই বচনটিতে সকল হল উদ্দেশ্য এবং মরণশীল হলো বিধেয়। 

নঞর্থক বচন বা না বাচক বচনঃ- 

যে বচনে উদ্দেশ্য পদ সম্পর্কে যা কিছু বলা হয়, তা যদি বিধেয় পদে অস্বীকার করা হয়, তখন সেই বচনকে নঞর্থক বা নৈঅর্থক অথবা না বাচক বচন বলা হয়। 

যেমন- কোনো কবি নয় বৈজ্ঞানিক, কোন কোন কবি নয় বৈজ্ঞানিক ইত্যাদি। 

পরিমাণ অনুসারে বচনের শ্রেণীবিভাগঃ- 

বচনে যখন সার্বিক বা আংশিক দিক থেকে উদ্দেশ্য পদকে নির্দেশ করা হয়, তখন তাকে বলা হয় পরিমাণের দৃষ্টিকোণ ম পরিমাণ অনুসারে বচনকে দুই ভাগ ভাগ করা হয়। যথা সার্বিক বা সামান্য বচন এবং বিশেষ বচন। 

সার্বিক বচন বা সামান্য বচনঃ- 

যেই বচনে বিধেয় পদটি উদ্দেশ্য পদের সমগ্র অংশ বা পরিপূর্ণ ব্যক্তর্থ বা পরিমাণকে স্বীকার বা অস্বীকার করে, সেই প্রকার বচনকে সামান্য বা সার্বিক বচন বলে।  

উদাহরণ- সকল মানুষ হয় মরণশীল, কোনো মানুষ নয় মরণশীল ইত্যাদি। 

বিশেষ বচনঃ- 

যেই বচনে বিধেয় পদটি উদ্দেশ্য পদের সমগ্র অংশ বা পরিপূর্ণ ব্যক্তর্থ বা পরিমাণকে স্বীকার বা অস্বীকার করে না করে, উদ্দেশ্য পদের শুধুমাত্র আংশিক পরিমান বা ব্যক্তর্থকে স্বীকার বা অস্বীকার করে, সেই প্রকার বচনকে বিশেষ বচন বলে। 

উদাহরণ - কোনো কোনো মানুষ হয় সৎ।, কোনো কোনো কবি নয় দার্শনিক ইত্যাদি। 

সম্বন্ধ অনুসারে বচনের শ্রেণীবিভাগঃ- 

বচনের উদ্দেশ্য পদ এবং বিধেয় পদের মধ্যে কোন শর্ত যুক্ত সম্বন্ধ আছে-কিনা,সেই ভিত্তিতে বচনের সমন্ধকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা নিরপেক্ষ বচন বা শর্তহীন বচন এবং সাপেক্ষ বচন অথবা শর্ত যুক্ত বচন। 

নিরপেক্ষ বচন বা শর্তহীন বচনঃ- 

যেই বচনে উদ্দেশ্য পদের সঙ্গে বিধেয় পদের কোন শর্ত যুক্ত সম্বন্ধ থাকে না,সেই প্রকার বচনকে নিরপেক্ষ বা শর্তহীন বচন বলা হয়। যেমন- রাম হয় ভালো ছেলে।, কোন কোন মানুষ হয় সৎ ইত্যাদি। 

সাপেক্ষ বা শর্তযুক্ত বচনঃ- 

যেই প্রকার বচনে উদ্দেশ্য পদ এবং বিধেয় পদের মধ্যে কোন শর্ত যুক্ত সম্বন্ধ থাকে বা উদ্দেশ্য পদটি বিধেয় পদের কোনো শর্তের উপর নির্ভর করে,তখন সেই প্রকার বচনকে শর্ত যুক্ত বচন বা সাপেক্ষ বচন বলা হয়। 

উদাহরণ - যদি বৃষ্টিপাত হয় তবে মাটি ভিজবে।, হয় তুমি ডাক্তার হবে অথবা তুমি ইঞ্জিনিয়ার হবে ইত্যাদি।।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top