ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ব‍্যর্থতার কারণ কী?|| WB Class 12 History Question Answer & Notes

0

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ব‍্যর্থতার কারণ কী? || WB Class 12 History Question Answer & Notes


আজকের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আমরা দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় বা উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং উপনিবেশ সমূহ (West Bengal Board Class 12 History Question Answer & Suggestion 2023) একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বা বিষয় 'ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ব‍্যর্থতার কারণ কী? || ভারত ছাড়ো আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা করোপ্রশ্নটির উওর ( wb class 12 modern history notes ) তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। এবং উচ্চমাধ্যমিক সহ অন্যান্য ক্লাসের নোটস (class 12 history notes and suggestion ) পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করতে থাকো।।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ব‍্যর্থতার কারণ কী?|| WB Class 12 History Question Answer & Notes

ভূমিকাঃ- ক্রিপস মিশনের ব‍্যর্থতা, ভারতের রাজনৈতিক হতাশা, জাপানি আক্রমণ প্রতিহিত করা এবং ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনের উদ্দেশ্যে মহাত্মা গান্ধী ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ই ফেব্রুয়ারি ভারত ছাড়ও আন্দোলন শুরু করেন। কিন্তু দুই বছরের মধ্যেই ভারতছাড়াও আন্দোলন সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ হয়। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের এই ব্যর্থতার পেছনে বিভিন্ন কারণ গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল। ভারতের আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল -প্রবল দমননীতি, জাতীয় নেতৃত্বের অভাব, সাংগঠনিক দুর্বলতা, বিদ্রোহীদের সংখ্যা কমে যাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ,বাংলার দুর্ভিক্ষ, মুসলিম লীগের বিরোধিতা, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি এবং অন্যান্য সংগঠনের  বিরোধিতা প্রভৃতি।

জাতীয় নেতৃত্বের অভাবঃ-

ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু করার পরে ব্রিটিশ সরকার এতে ভীত হয়ে জাতীয় স্তরের কয়েকজন নেতা যেমন মহাত্মা গান্ধী,  জহরলাল নেহেরু, বল্লব ভাই প্যাটেল প্রমুখ নেতাকে গ্রেফতার করে।  ফলে ভারত ছাড়ো আন্দোলন সম্পূর্ণভাবে নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে। সঠিক নেতৃত্ব না থাকায় ভারত ছাড়ো আন্দোলনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা এবং সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কেউ ছিলনা। যার ফলে ভারত ছাড়ো আন্দোলন কিছু দিনের মধ্যেই ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে।

প্রবল দমননীতিঃ- 

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় সঠিক কোনো নেতৃত্ব না থাকায় আন্দোলনকারীরা নিজেদের মতো করে আন্দোলন পরিচালনা করতে শুরু করেছিল। তারা মূলত অহিংসার পথ বেশি নিয়েছিল। যার ফলে তারা ব্রিটিশ সরকারের পুলিশ স্টেশন,রেল স্টেশন টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অগ্নি সংযোগ ইত্যাদি কাজকর্ম শুরু করে। ব্রিটিশ সরকারের এতো পরিমাণ সম্পত্তি ধ্বংস করার জন্য ব্রিটিশ সরকার আন্দোলনকারীদের থামানোর জন্য প্রবল পরিমাণের দমননীতি চালায়। সরকারের প্রবল দমননীতিতে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। যার ফলে আন্দোলনকারীরা ধীরে ধীরে নিজেদের সরিয়ে নিতে শুরু করে।

সঠিক পরিকল্পনার অভাবঃ-

জাতীয় নেতৃবৃন্দদের গ্রেপ্তার হওয়ার পর  আন্দোলন নেতৃত্ব হয়ে পড়ে। ভারত ছাড়ো আন্দোলন বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে কোনো সঠিক পরিকল্পনা, সঠিক সংগঠন ইত্যাদি ছিল না। যার ফলে এই আন্দোলনের ভীত অনেকটাই দুর্বল ছিল। 

ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি এবং অন্যান্য কিছু রাজনৈতিক দলের অসমর্থনঃ- 

সাধারণ জনগণ ছাড়া আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করলেও,ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি,হিন্দু মহাসভা,মুসলিম লীগ প্রভৃতি ভারত ছাড়ো আন্দোলন থেকে নিজেদের দূরে রেখেছিল। এবং কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্ত রাজনৈতিক দল ভারত ছাড়ো ছাড়ো আন্দোলনের তীব্র বিরোধিতা করেছিল। যার ফলে এই আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষ যোগদান করেনি। যার ফলে এই আন্দোলনকে দমন করা ব্রিটিশ সরকার পক্ষে অতটাও কঠিন ছিল না। 

প্রাকৃতিক দুর্যোগঃ- 

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে প্রবল পরিমাণে ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি ও বন্যা দেখা যায়। যার ফলে সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র মেদিনীপুরে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়। মেদিনীপুরে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার সেখানে ত্রানের ব্যবস্থা করলেও তা ছিল খুবই কম। এরপর ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে সারা বাংলায় ভয়ানক দুর্ভিক্ষের ফলে অনাহারে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়। সরকার রেঙ্গুন থেকে চাল আমদানি বন্ধ করলে খাদ্যাভাব আরও তীব্র হয়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বিপর্যস্ত মানুষ আন্দোলন সম্পর্কে উদাসীন হতে বাধ্য হয়। এর ফলে আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়ে।

মুসলিম সম্প্রদায়ের ভূমিকাঃ- 

মুসলিম লিগ ও মুসলিম সম্প্রদায় ভারত ছাড়ো আন্দোলন থেকে নিজেদের দুরে সরিয়ে রাখায় এই আন্দোলন প্রকৃত গণ-আন্দোলন হয়ে উঠতে পারেনি। লিগ নেতা মহম্মদ আলি জিন্না মুসলিম। সম্প্রদায়কে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার পরামর্শ দেন। বিপুল সংখ্যক মুসলিম আন্দোলন থেকে দূরে থাকার ফলে ভারত ছাড়ো আন্দোলন অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। এবং এভাবেই ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলন সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ হয়।।


আশাকরি, দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় বা উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং উপনিবেশ সমূহ (West Bengal Board Class 12 History Question Answer & Suggestion 2023) একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বা বিষয় 'ভারত ছাড়ো আন্দোলনের কারণ এবং ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করো।সম্পর্কে যে নোট দেওয়া হয়েছে, তা তোমাদের কাজে আসবে।।

Tags : 

Class 12 history notes | hs history suggestion | wb class 12 history question answer and suggestion 2023 | modern indian history question answer | modern Indian history notes | history question answer of modern India | দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উওর এবং সাজেশন | দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং উপনিবেশসমূহ অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর | wb class 12 History question answer  | hs History question answer | উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর | দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং উপনিবেশসমূহ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top