একাদশ শ্রেণির বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা প্রশ্ন উত্তর ও নোট || WB Class 11 Bengali Question Answer & Notes 2023

0

 

একাদশ শ্রেণির বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা প্রশ্ন উত্তর ও নোট  || WB Class 11 Bengali Question Answer & Notes 2023
একাদশ শ্রেণির সাহিত্যের ইতিহাসের প্রশ্ন উওর

আজকের এই পোস্টে যে সমস্ত বিষয় আলোচনা করা হয়েছেঃ-

• ভারতীয় ভাষাঃ-
• ভারতের প্রধান জনগোষ্ঠীঃ
• অস্ট্রিক ভাষাবংশঃ-
• দ্রাবিড় ভাষা বংশ
• দ্রাবিড় ভাষা বংশের প্রধান চারটি ভাষা
• ভারতীয় আর্য শাখাটি
• প্রাচীন ভারতীয় আর্য
• মধ্য ভারতীয় আর্য
• নব্য ভারতীয় আর্য
• বাংলা ভাষায় জন্মের ইতিহাস

আজকের এই ব্লগের মাধ্যমে আমরা একাদশ শ্রেণির সাহিত্যের ইতিহাসের (WB Class 11 Bengali Question Answer 2023) ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা থেকে থেকে যে সমস্ত প্রশ্ন উত্তর তোমাদের পরিক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো তোমাদের সাথে শেয়ার করবো।। আজকের এই ব্লগ পোস্টটা তোমাদের সবার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ আজকের এক ব্লগে আমি একাদশ শ্রেণির সাহিত্যের ইতিহাসের ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা অধ্যায়ের সম্পূর্ণ নোট এবং ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা থেকে যত ছোটো বড় প্রশ্ন হয়, তার উওর এখান থেকে তোমরা পেয়ে যাবে।

একাদশ শ্রেণির বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা প্রশ্ন উত্তর ও নোট  || WB Class 11 Bengali Question Answer & Notes 2023

ভারতীয় ভাষাঃ-

• ভাষাগত দিক থেকে ভারত সম্পর্কে দুটি অভিধা প্রচলিত আছে। যথা - ১ - ভারত ভাষার অরণ্য, ২- ভারত চার ভাষা বংশের দেশ।
১৯০৩ - ১৯২৮ সালে জর্জ গ্রিয়ার্সনের সম্পাদনায় ভারতে যে ভাষাসমীক্ষা বা  ল্যাঙ্গুয়েজটিক সার্ভে হয়েছিল তাতে দেখা গিয়েছিল যে ভারতে প্রায় ১৭৯ ধরনের ভাষা এবং ৫৪৪ ধরনের উপভাষা প্রচলিত আছে।
• এছাড়াও ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যে ভারতে মোট ১৬৫২ টি মাতৃভাষা প্রচলিত আছে। এরমধ্যে ৫৩০ টি ভাষা অবর্গীভূত  এবং ১০৩ টি ভাষা অভারতীয় ভাষার মধ্যে পড়ে।
এবং বাকি ভাষাগুলি চারটি ভাষা বংশের অন্তর্গত।। এই চারটি ভাষাবংশ হল -
ইন্দো ইউরোপীয়,  দ্রাবিড়,  অস্ট্রিক ও ভোটচিনা।

ভারতের প্রধান জনগোষ্ঠীঃ-

• " বাঙালির নৃতাত্ত্বিক পরিচয়  " - অংশে বলা হয়েছে যে ভারতীয় জনসমূহের প্রাচীনতম স্তর হলো - " নিগ্রোবটু " বা ' নেগ্রিটো '। এদের সন্ধান পাওয়া যায়  ভারতের " দক্ষিণ ভারতের অংশে", পূর্ব ভারতের অঙ্গামি নাগা ও আন্দামানের বেশ কয়েকটি জনজাতির মধ্যে।
• এরপর " Proto Australoid বা প্রত্ন অস্ত্রালরা " ভারতের মাটিতে অস্তিত্ব গড়তে শুরু করে। ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চল ও মধ্য ভাগে এই জনজাতিকে দেখা যায়।
• এরপর ভারতের মাটিতে ভূমধ্য জনগোষ্ঠী তাদের পা রাখে।  দক্ষিণ ভারতে এই জনগোষ্ঠীর দেখা পাওয়া যায়।
• এর পরবর্তী সময় কালে ভারতের মঙ্গোলয়েড এবং তারপর ভারতে আর্যরা তাদের আধিপত্য স্থাপন করে।

অস্ট্রিক ভাষাবংশঃ-

অস্ট্রিক শব্দের অর্থ হলো দক্ষিণ দেশীয় জাতি

১ • প্রোটো অস্ট্রালয়েডদের মধ্যে যে ভাষা প্রচলিত সেটাই হলো অস্ট্রিক ভাষা।
২ • অস্ট্রিক হলো ভারতের প্রাচীনতম ভাষাগোষ্ঠী। ভারতের প্রায় ৬৫ টি ভাষা এই ভাষাবংশের অন্তর্গত।
৩ • অস্ট্রিক ভাষা বংশের দুটি প্রধান শাখা আছে।
যথা -  অস্ট্রোনেশীয় ও অস্ট্রো-এশিয়াটিক।
৪ • অস্ট্রোনেশীয় শাখার প্রধান ভাষা হল মালয়।
অস্ট্রোনেশীয় শাখার ভাষা ভারতের বাইরে ইন্দোনেশিয়া ফিজি, ক্যারোলাইন প্রভৃতি জায়গায় প্রচলিত আছে।
৫ • অস্ট্রো-এশিয়াটিক শাখার ভাষা ভারতের মধ্যেই প্রচলিত। অস্ট্রো-এশিয়াটিক শাখার আবার তিনটি ভাগ আছে।
এই তিনটি ভাগ হলো- 
◆1 - পশ্চিমা শাখা, ◆ 2- মধ্যদেশীয় বা মোন- খমের শাখা , ও ◆ 3 - পূর্বী শাখা।

পশ্চিমা শাখা :-
• পশ্চিমা শাখা হলো অস্ট্রো এশিয়াটিক শাখার বৃহত্তম ভাগ ।
• পশ্চিমা শাখার ভাষা তৈরি করেছেন রঘুনাথ মুর্মু।
• প্রায় ৫৮ টি ভাষা এর অন্তর্গত এর অন্তগর্ত
• পশ্চিমা শাখার প্রধান ভাষা হল সাঁওতালি ও অপর প্রধান ভাষা হল " মুন্ডারি " ভাষা।
• পশ্চিমা শাখার ভাষায় গড়ে ওঠা লিপি কে " অলচিকি " বলা হয়।
•  অন্ধ প্রদেশ,  বিহার, ঝাড়খন্ড ও পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় এই শাখার ভাষা প্রচলিত।
•  মোন-খমের বা মধ্যদেশীয় শাখা :-
• অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষাগোষ্ঠীর সাতটি ভাষার মধ্যেদেশীয় শাখার অন্তর্গত।
• আন্দামানের " নিকোবরি " ও  উত্তর-পূর্ব ভারতের " খাসি " ভাষা এই শাখার প্রধান ভাষার গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
◆ পূর্বী শাখা :- এই শাখার অস্তিত্ব নিয়ে ভাষাবিদ দের মধ্যে সংশয় আছে। তাই এর সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।
দ্রাবিড় ভাষা বংশঃ-
১ - দ্রাবিড় হলো ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষা বংশ।
২ • ভূমধ্যীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত ভাষাই হলো দ্রাবিড় ভাষা।
৩- মূলত দ্রাবিড়রাই হরপ্পা সভ্যতার সৃষ্টি করেছিল।
৪- দ্রাবিড় ভাষা বংশের বেশ কিছু উপশাখাও  রয়েছে। 
যথা- দক্ষিণী, উত্তরদেশীয়, মধ্যদেশীয় ও বিচ্ছিন্ন।
1 - দক্ষিনী শাখা : দক্ষিনী হল দ্রাবীড় ভাষাবংশের প্রধান শাখা। এটি দক্ষিণ ভারত ও সিংহলে বিস্তৃত। এর উল্লেখযােগ্য ভাষাগুলি হল তামিল, তেলেগু, মালয়ালম, কন্নড় ইত্যাদি।
2- উত্তরদেশীয় শাখা :  উওরদেশীয় শাখাটি বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড ও মধ্যপ্রদেশে প্রচলিত আছে।  এর প্রধান ভাষা গুলোর মধ্যে " ওরাওঁ " এবং " মালতে "  ভাষা গুলি পরে।
3- মধ্যদেশীয় শাখা : মধ্যদেশীয় শাখার ভাষা বিহার, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশে, ছত্তিশগড় ও মহারাষ্ট্রে এই প্রচলন আছে।
• এই শাখার প্রধান ভাষা সাতটি আছে।
যথা- গােন্ডী, কোন্দ, কুই, পরজি ইত্যাদি।
4- বিচ্ছিন্ন শাখা : এই শাখাটি পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে প্ৰচলিত। এই শাখার একমাত্র ভাষা হল ‘ব্রাহুই' ভাষা।
• প্রাচীনকাল থেকে এই ভাষাগােষ্ঠীর সাথে আর্য ভাষার সংমিশ্রণ ঘটতে থাকে। ফলে বহু দ্রাবিড় শব্দ সংস্কৃত ভাষায় প্রবেশ করেছে যেমন ময়ূর, খাল, বিল,উলু,জেলা, পুষ্প,পূজা ইত্যাদি। এই শব্দগুলি পরবর্তিতে আমাদের বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে।

দ্রাবিড় ভাষা বংশের প্রধান চারটি ভাষা -

• দ্রাবিড় ভাষা বংশের প্রধান চারটি ভাষার মধ্যে তামিল ভাষা, তেলুগু ভাষা, কন্নড় ভাষা ও মালয়ালাম ভাষা হল প্রধান।
তেলেগু- দ্রাবিড় ভাষাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তম ভাষা হল তেলুগু ভাষা। এটি অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় প্রচলিত।
•  ২০০১ সালে জনগণনা অনুযায়ী প্রায় ৭কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ এই ভাষায় কথা বলে।
• তেলুগু লিপি পল্লব লিপি(ব্রাহ্মীলিপি) থেকে এসেছে।
তামিল : দ্রাবিড় ভাষাগুলির মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষা হল তামিল ভাষা| এটি তামিলনাড়ু ও কেরল রাজ্যে প্রচলিত।
•  ২০০১ সালে জনগণনা অনুসারে প্রায় ৬কোটি ৭ লক্ষ মানুষ তামিল ভাষায় কথা বলে।
•  তামিল লিপি গ্রন্থিলিপি (ব্রাহ্মী লিপি) থেকে এসেছে।
•  তামিল ভাষায় ১২টি স্বরবর্ণ ও ১৮টি ব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে। এই লিপিতে যুক্তব্যঞ্জনের কোনাে ব্যবহার নেই।
কন্নড় - দ্রাবিড় ভাষাগুলির মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম ভাষা হল কন্নড় ভাষা। এটি কর্নাটক, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে প্রচলিত।
•  ২০০১ সালে জনগণনা অনুসারে প্রায় ৩ কোটি ৭৯ লক্ষ মানুষ কন্নড় ভাষায় কথা বলে।
• কন্নড় ভাষা তামিল থেকে উদ্ভূত কিন্তু কন্নড় লিপির সাথে তেলুগু লিপির সদৃশ্য বেশি।
▶মালয়ালম- দ্রাবিড় ভাষাগুলির মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম ভাষা হল মালয়ালাম ভাষা। এটি কেরল ও লক্ষদ্বীপে
প্রচলিত।
• ২০০১ সালে জনগণনা অনুসারে প্রায় ৩ কোটি ৩০লক্ষ মানুষ এই ভাষায় কথা বলে।
• মালয়ালমভাষা তামিল থেকে উদ্ভূত।
• মালয়ালম ভাষার লিপি এসেছে ব্রাহ্মী লিপি থেকে।  • দক্ষিণ ভারতের ভাষাগুলির মধ্যে মালয়ালম ভাষাতেই সংস্কৃত ভাষার প্রভাব বেশি।
ভোটচিনা ভাষাঃ-
ভােটচিনা:   মঙ্গোলয়েড জাতিগােষ্ঠর  ভাষা হল ভােটচিনা। ভােটচিনা ভাষাগােষ্ঠী দুটি শাখায় বিভক্ত
যথা-তাইচিনা ও ভােটধর্মী।
তাইচিনা শাখা:  তাইচিনা বর্গের শ্যামীয় শাখার মধ্যে খামতি উত্তর পূর্ব আসাম ও অরুনাচল প্রদেশে
প্রান্তীয় অঞ্চলে প্রচলিত খ্রিষ্টীয় ১৩০০ থেকে ১৮০০ শতক পর্যন্ত আহােম ভাষা আসামে প্রচলিত ছিল।
এই আহােম থেকেই আসাম শব্দের উৎপত্তি।
ভােটধর্মী শাখা:- এই শাখাটি ভারতবর্ষের হিমালয় অঞ্চলে প্রচলিত। এই শাখার অন্তর্গত ভােটিয়া ভাষার কেন্দ্র লাসা হলেও এই ভাষার নানা বৈচিত্র্য দেখতে পাওয়া যায় কাশ্মীরের লাডাক,  হিমাচল প্রদেশের লাউল ও স্পিতি জেলায়।
• এই শাখার প্রায় ২৪টি ভাষা উত্তর পূর্ব সীমান্ত অঞ্চলে অরুনাচলপ্রদেশ ও অসমের পার্বত্য অঞ্চলে প্রচলিত আছে যার মধ্যে প্রধান হল আকা, আবর, দফলা মিসমি এবং মিরি। আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড মণিপুর এইসব অঞ্চলে যে ভাষাগুলি
দেখতে পাওয়া যায় তাকে আবার চারটি ভাগে ভাগ করা যায় যথা - ১ বােরাে[রাভা, কোচ গারে], ২ নাগা [লােথা, অঙ্গামি সেমা ], ৩, কুকিচিন[মেইতেই মিজো কুকি ] , ৪ বমি[মােঘ ও ম্রু ]
আধুনিক বাংলায় বহু শব্দ এই ভাষা থেকে প্রবেশ করেছে যেমন- চা লিচু লুঙ্গি, সিন্দুর ম্লেচ্ছ ইত্যাদি।

ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষা বংশঃ

১ - ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাবংশ হল পৃথিবীর বৃহত্তম ভাষাবংশ।
•  ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাবংশের একটি শাখা হল ইন্দো-ইরানীয় ভাষাগােষ্ঠী।
• ইন্দো-ইরানীয় ভাষাগােষ্ঠী আবার দুটি শাখায় বিভক্ত যথা ইরানীয় আর্য ও ভারতীয়
আর্য।
▶ ভারতীয় আর্য শাখাটি খ্রীষ্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে ভারতে প্রবেশ করে। তারপর থেকে ৩৫০০ বছরেরও বেশি সময় জুড়ে এই ভাষা নানা রূপে ভারতের নানা অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি ভারতের বৃহত্তম ভাষা বংশ। এই সাড়ে তিন হাজার বছরের ভারতীয় আর্য ভাষার ইতিহাসকে তিনটি প্রধান যুগে ভাগ করা হয়। যথা-
১) প্রাচীন ভারতীয় আর্য
২) মধ্য ভারতীয় আর্য
৩) নব্য ভারতীয় আর্য
প্রাচীন ভারতীয় আর্য -

প্রাচীন ভারতীয় আর্য:- 

এর সময় কাল ১৫০০ খ্রিঃ পূঃ থেকে ৬০০ খ্রিঃপূঃ পর্যন্ত।

•  প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শণ হল ঋক্ বেদ।
•  প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষাকে অনেক সময় বৈদিক ভাষাও বলা হয়।
• প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার দুটি
পর্যায় রয়েছে। যথা ১ - বৈদিক ভাষা ও সাহিত্য 2-  সংস্কৃত
বৈদিক ভাষা বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে তার কিছু আঞ্চলিক বা লৌকিক রূপ প্রকাশিত হতে থাকে। এই আপাত বিশৃঙ্খল লৌকিক ভাষাকে নিয়মবদ্ধ করে শিষ্ট লেখ্য ভাষায় পরিণত করেন ব্যাকরণবিদ পাণিনি। তিনি মােট আটটি অধ্যায়ে তাঁর ব্যাকরণ রচনা করেন। তাই তার গ্রন্থের নাম ‘অষ্টাধ্যায়ী’।
সংস্কৃত ছিল প্রধানত শিক্ষিত লােকের ভাব বিনিময়ের ভাষা বা সাহিত্যের ভাষা তবে সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা হিসাবে সংস্কৃতের আর একটি রূপ ক্রমশ সমৃদ্ধ হচ্ছিল যা কথ্য সংস্কৃত নামে পরিচিত।  এই কথ্য সংস্কৃতের সাথে দ্রাবিড় ভাষাগােষ্ঠীর শব্দ মিশে ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা হিসাবে প্রাকৃত ভাষার জন্ম হয়।

• প্রাক‍ৃত ভাষা : 

সংস্কৃত + দ্রাবিড়
মধ্য ভারতীয় আর্যঃ-
মধ্য ভারতীয় আর্য :  মধ্য ভারতীয় আর্য এর সময়কাল ৬০০খ্রিঃপূঃ থেকে ৯০০ খ্রিঃ পর্যন্ত।
• এই পর্বের প্রধান ভাষা হল প্রাকৃত এই ভাষার মূল উপাদান হল সংস্কৃত।এটি ছিল সাধারণ মানুষের মুখেরভাষা বা কথ্য ভাষা।
• ১০০ থেকে ৬০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে এই প্রাকৃত ভাষার বেশকিছু আঞ্চলিক রূপ দেখা যায় যথা-
মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত, শৌরসেনী প্রাকৃত, পৈশাচী প্রাকৃত, মাগধী প্রাকৃত এবং অর্ধমাগধী প্রাকৃত।
• এর মধ্যে মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত আদর্শ প্রাকৃত হিসাবে নাটকে বা কাব্য কবিতায় ব্যবহৃত হত।
প্রতিটি প্রাকৃত ভাষা পরবর্তীতে অপভ্রংশে রূপান্তর হয়।
যেমন- মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত থেকে জন্ম হয় মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত অপভ্রংশ আবার মাগধী প্রাকৃত থেকে মাগধী প্রাকৃত অপভ্রংশ... ইত্যাদি।
এই অপভ্রংশের পরের স্তর অবহট্ঠ যার থেকে জন্ম নেয় নব্য ভারতীয় আর্য ভাষা।
• মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন হল অশােকের শিলালিপি।
• এছাড়াও সাহিত্যের ভাষা হিসাবে এই সময় বৌদ্ধ সংস্কৃত ও পালি ভাষার বিকাশ ঘটে।
•  হীনযানী বৌদ্ধরা বুদ্ধদেবের বাণী পালি ভাষায় প্রচার করেন। পালি ভাষা ছিল সংস্কৃত ও প্রাকৃতের মধ্যবর্তী একটি স্তর। অনেকে মনে করেন মাগধী প্রাকৃত থেকে পালি ভাষার জন্ম। আবার অনেকে মনে করে অর্ধমাগধী থেকে এই ভাষার জন্ম।
• পালি ভাষায় লেখা গ্রন্থগুলির মধ্যে
উল্লেখযােগ্য হল ত্রিপিটক, জাতকের গল্প, থেরগাথা ইত্যাদি।

প্রাকৃত ভাষাঃ-

• মধ্যভারতীয় আর্য ভাষার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষা হল প্রাকৃত ভাষা।
•  প্রাকৃত ভাষার নামকরনের কারন -
• প্রাকৃত নামকরনের প্রধান দুটি কারন হল -
১ - প্রকৃতি শব্দ থেকে প্রাকৃত শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। প্রকৃতি শব্দের অর্থ মূল উপাদান। প্রাকৃত
ভাষার মূল উপাদান হল সংস্কৃত ভাষা। অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষাকে মূল উপাদান করেই এই ভাষার বিকাশ হয়েছে তাই এর নাম প্রাকৃত ভাষা।
২- আবার এই ভাষা যেহেতু প্রকৃত জনের বা সাধারণ জনগণের ভাষা তাই একে প্রাকৃত ভাষা বলা হয়। এর বিকাশ ঘটে ৬০০ খ্রিঃপূঃ থেকে ৯০০ খ্রিস্টাব্দ মধ্যে।
প্রাকৃত ভাষার আঞ্চলিক রুপঃ-
• ১০০ থেকে ৬০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে এই প্রাকৃত ভাষার বেশকিছু আঞ্চলিক রূপ দেখা যায় যথা-মহারাষ্ট্রী
প্রাকৃত, শৌরসেনী প্রাকৃত পৈশাচী প্রাকৃত, মাগধী প্রাকৃত এবং অর্ধমাগধী প্রাকৃত।
▶ মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত:  এই শাখাটি মহারাষ্ট্র ও গােয়ায় প্রচলিত। এই ভাষা আদর্শ প্রাকৃত হিসাবে নাটকে বা
কাব্য কবিতায় ব্যবহার হতে দেখা যায়। এই ভাষায় লেখা কয়েকটি গ্রন্থ হল প্রবর সেনের সেতুবন্ধ, হালের গাহাসত্তসঙ্গ, বাকপতি রাজের গৌড়বহাে৷ এই ভাষা পরবর্তিতে মহারী প্রাকৃত অপভ্রংশে রূপান্তর হয়৷
যার থেকে উদ্ভব হয় মারাঠী ও কোষ্কানী ভাষা।  এই দুটি ভাষা হল দক্ষিণ ভারতের দুটি গুরত্বপূর্ণ আর্য
ভাষা।
▶ শৌরসেনী প্রাকৃত:  এই শাখাটি মথুরা, দিল্লি, মিরাট অঞ্চলে প্রচলিত। এই ভাষা পরবর্তিতে শৌরসেনী প্রাকৃত অপভ্রংশে রূপান্তর হয় যার থেকে জন্ম নেয় নেপালি, গাড়ােয়ালী হিন্দুস্থানী, ব্রজভাষা
কনৌজী, বুন্দেলী ও বন্দারু ভাষা।
▶পৈশাচী প্রাকৃত : এর উৎস উত্তর-পশ্চিম ভারত হলেও পরবর্তীকালে মধ্য ভারতেও এই ভাষা প্রচলিত
হয়। এই ভাষা পরবর্তিতে পৈশাচী প্রাকৃত অপভ্রংশে রূপান্তর হয়। যার থেকে জন্ম নেয় সিন্ধি, পশ্চিমা
ও পূর্বী পাঞ্জাবি ভাষা।
• শিখ ধর্মগ্রন্থ " গ্রন্থ সাহেব " পূবী পাঞ্জাবি ভাষার গুরুমুখী লিপিতে লেখা।
▶ মাগধী প্রাকৃত:    এই ভাষা মগধ ও তার পার্শবর্তী অঞ্চলে প্রচলিত ছিল।
• এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন হল সুতনুক প্রত্নলিপি। এই ভাষা পরবর্তিতে মাগধী প্রাকৃত অপভ্রংশে রূপান্তর হয়।
• এর দুটি শাখা আছে যথা-পূর্ব ও পশ্চিমা।
•  পূর্বী শাখা থেকে এসেছে বাংলা, অহমীয়া, উড়িয়া ইত্যাদি ও পশ্চিমা শাখা থেকে এসেছে ভােজপুরি, মৈথিলি ও মগহী ভাষা।
▶অর্ধ-মাগধী প্রাকৃত:    এই ভাষা লখনউ, অবধ, ছত্তিশগড় প্রভৃতি অঞ্চলে প্রচলিত।
• এই ভাষায় জৈন ধর্মসাহিত্য বেশি রচিত হয় তাই একে " জৈন প্রাকৃত' বলে।
• এই ভাষা পরবর্তিতে অর্ধমাগধী প্রাকৃত অপভ্রংশে রূপান্তর হয়।
• এর থেকে জন্ম নেয় অবধী, বাঘেলী ও ছত্তিশগড়ী ভাষা।
নব্য ভারতীয় আর্য ভাষা:-
▶ নব্য ভারতীয় আর্য :  এই ভাষার বিস্তারকাল ৯০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে আজ পর্যন্ত।
•  মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার শেষতম স্তরে যে নানান আঞ্চলিক রূপ ফুটে উঠেছিল, নবম শতকে সেখান
থেকে জন্ম নিল আধুনিক ভারতীয় ভাষাগুলি যথাঃ
মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত অপভ্রংশ এর থেকে জন্ম নিয়েছে মারাঠী ও কোক্কানী ভাষা।
• মারাঠী ভাষা প্রচলিত মহারাষ্ট্রে এবং কোষ্কানী ভাষা প্রচলিত গােয়ায়। এই দুটি ভাষা দক্ষিণ ভারতের দুটি গুরুত্বপূর্ণ আর্য ভাষা!
▶ শৌরসেনী প্রাকৃত অপভ্রংশ : এর থেকে জন্ম নিয়েছে নেপালি, কুমায়ুনি ও গাড়ােয়ালী। এই ভাষাগুলি হিমালয়ের পাহাড়ি গ্রামগুলিতে প্রচলিত।
• এছাড়াও ভারতের মধ্য ভাগে প্রচলিত হিন্দুস্থানি, ব্রজভাষা, কনৌজী বুন্দেলী ও বন্দারু এই পাঁচটি ভাষাও শৌরসেনী প্রাকৃত থেকে এসেছে। এই পাঁচটি ভাষাকে একসাথে পশ্চিমি হিন্দি বলে| আবার গুজরাটি ও রাজস্থানি ভাষাও শৌরসেনী প্রাকৃত থেকে এসেছে।
পৈশাচী প্রাকৃত অপভ্রংশ :  এর থেকে জন্ম নিয়েছে সিন্ধি, পশ্চিমা ও পূর্বী পাঞ্জাবি।
• সিন্ধি ভাষা কচ্ছঅঞ্চলে প্রচলিত পূর্বী পাঞ্জাবি পূর্ব পাঞ্জাব ও দিল্লি অঞ্চলে প্রচলিত।
•  শিখ ধর্মগ্রন্থ গ্রন্থ সাহেব পূবী পাঞ্জাবির গুরুমুখী লিপিতে লেখা| আবার পশ্চিমা পাঞ্জাবি পশ্চিম পাঞ্জাবের ভাষা, এর আরেক নাম লহন্দী।
▶ মাগধী প্রাকৃত অপভ্রংশ:  এই ভাষা পূর্ব ভারতে প্রচলিত মগধ ও পার্শবর্তী অঞ্চলে।
•  এর দুটি শাখা আছে যথা - পুর্বী ও পশ্চিমা।
•  পুর্বী শাখা থেকে এসেছে আমাদের মাতৃভাষা বাংলা।
এছাড়া অহমিয়া, উড়িয়া ইত্যাদি।
•   আর পশ্চিমা শাখা থেকে এসেছে ভােজপুরি, মগহী এবং মৈথিলি ভাষা।
▶ অর্ধমাগধী প্রাকৃত অপভ্রংশ : এই ভাষা প্রচলিত আছে অধ, বাঘেলখন্ড ও ছত্তিশগড়ে। এর থেকে
তিনটি ভাষার উদ্ভব হয়েছে যথা- অবধী, বাঘেলী ও ছত্তিশগড়ী। এই তিনটি ভাষাকে একত্রে পূর্বী হিন্দি
বলে।
বাংলা ভাষার বিবর্তনের পর্যায় অথবা বাংলা ভাষার কালিক বিভাগঃ-
• জন্ম থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত বাংলা ভাষার বিবর্তনপথকে ভাষাতাত্ত্বিকরা তিনটি পর্যায়ে ভাগ করেছে যথা-
প্রথম পর্যায় (প্রাচীন বাংলা) :
সময়কাল- ৯০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
• সাহিত্যিক নিদর্শন চর্যাপদ,  অমরকোষ, বিদগ্ধমুখমন্ডল।
দ্বিতীয় পর্যায় (মধ্য বাংলা) :
• এই পর্যায়ের দুটি উপবিভাগ রয়েছে যথা-

আদিমধ্য বাংলা এবং অন্ত-মধ্য বাংলা আদিবাংলা :  

আদিমধ্য বাংলার সময় কাল আনুমানিক ১২৫০ খ্রস্টাব্দ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
• সাহিত্যিক নিদর্শন- বড়ু চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
অন্তমধ্য বাংলা :  অন্ত-মধ্য বাংলার সময় কাল আনুমানিক ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
• সাহিত্যিক নিদর্শন- বৈষ্ণব পদাবলি, মঙ্গলকাব্যনাথ সাহিত্য ইত্যাদি।
তৃতীয় পর্যায় (আধুনিক বাংলা):
এ সময়কাল- ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত।
• সাহিত্যিক নিদর্শন- এই সময়কার সাহিত্যিক নিদর্শন প্রচুর। যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলি,
মাইকেল মধুসূদন দত্তের মেঘনাদবধ কাব্য, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের আনন্দমঠপ্রভৃতি।

ব্যবহার অনুসারে বাংলা ভাষার প্রকার -

• ব্যবহার অনুসারে বাংলা ভাষার প্রকার হলো দুই। 
-  যথা- ১ - লেখ্যভাষা(সাধুভাষা)  ও  ২-  কথ্যভাষা(চলিত ভাষা)
সাধুভাষা:  বাংলা লেখ্যভাষার সাহিত্যিক রূপকে সাধুভাষা বলে।
চলিতভাষা:  বাংলা কথ্যভাষার রূপকে চলিতভাষা বলে। এই ভাষায় স্বরসংগতির প্রবণতা প্রবল।
উপভাষা:  উপভাষাকোনাে ভাষা যদি বৃহত্তর ভৌগলিক অঞ্চলে বিস্তারলাভ করে তখন নানা অঞ্চলে সেই ভাষার রূপ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়। ভাষার এই আঞ্চলিক রূপকে উপভাষা বলে।

সংস্কৃত ভাষা কী বাংলা ভাষার জননী?
বাংলাভাষার জন্ম কোথা থেকে হয়েছে? বা
বাংলা ভাষাকে অনাৰ্য্য ভাষার ছাঁচে ঢালা আৰ্য্য ভাষা কেন বলা হয়?

উওর : উনবিংশ শতকের সংস্কৃত পন্ডিতরা যাঁরা বাংলা ভাষা চর্চা করতেন, তাঁরা মনে করেছিলেন সংস্কৃত ভাষা থেকেই বাংলা ভাষার জন্ম। তাদের এইরূপ ধারনার মূলে দুটি কারন ছিল যথা-
• প্রথমত :  বাংলা ভাষার ব্যাকরণে ও শব্দভান্ডারে সংস্কৃতের গভীর প্রভাব।
• দ্বিতীয়ত : নিজেদের আর্য ভাবার মতাে উন্নাসিক মানসিকতা।
কিন্তু সূক্ষ্ম ভাষাতাত্ত্বিক বিচারে দুটি দিক থেকে বলা যায় যে সংস্কৃত ভাষা বাংলা ভাষার
জননী নয়।
▶ প্রথমতঃ প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার দুটি পর্যায় রয়েছে। যথা - বৈদিক ভাষা ও
সাহিত্য  এবং  সংস্কৃত । সংস্কৃত ছিল প্রধানত শিক্ষিত লােকের ভাব বিনিময়ের ভাষা বা সাহিত্যের
ভাষা।
তবে সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা হিসাবে সংস্কৃতের আর একটি রূপ ক্রমশ সমৃদ্ধ
হচ্ছিল যা কথ্য সংস্কৃত নামে পরিচিত। এই কথ্য সংস্কৃতের সাথে দ্রাবিড় ভাষাগােষ্ঠীর শব্দ
মিশে ধীরে ধীরে সাধারণমানুষের মুখের ভাষা হিসাবে প্রাকৃত ভাষার জন্ম হয়। এই
প্রাকৃত ভাষার একটি আঞ্চলিক রূপ হল মাগধী প্রাকৃত যার থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে এসেছে
মাগধী প্রাকৃত অপভ্রংশ। এর থেকে এসেছে অবহট্ঠ এবং তার থেকে জন্ম নিয়েছে বাংলা
ভাষা। সুতরাং মাগধী প্রাকৃত অপভ্রংশ বা মাগধী অপভ্রংশ হল বাংলা ভাষার জননী।
সুতরাং বাংলা ভাষা :-  প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা ---->  সংস্কৃত ------> কথ্য সংস্কৃত------ >  প্রাকৃত ----> মাগধী প্রাকৃত------>
মাগধী প্রাকৃত অপভ্রংশ (অবহট্ঠ ) -----> বাংলা ভাষা।
• এই কারনে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বলেছেন “সংস্কৃত হল বাংলা ভাষার অতি অতি অতি অতি অতিবৃদ্ধ পিতামহী। দ্বিতীয়ত :  সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় "বাংলা ভাষার কুলজী” গ্রন্থে বলেছেন-
বাংলা ভাষা উদ্ভবের সময় আর্যভাষার বিবর্তিতরূপের সাথে অর্থাৎ প্রাকৃত ও
অপভ্রংশের সাথে বহু অনার্য ভাষা যেমন দ্রাবিড় অস্ট্রিক ও ভােটচিনা ভাষার শব্দ মিশে গেছে। তাই বাংলা শব্দ ভান্ডারে অজস্র অনার্য বা দেশি শব্দ প্রবেশ করেছে।
এমনকি ধবনিতাত্ত্বিক ও ব্যাকরণেও আনার্য ভাষার বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। তাই সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছেন বাংলা ভাষা হল অনাৰ্য্য ভাষার ছাঁচে ঢালা আৰ্য্য
ভাষা”।

আশাকরি, একাদশ শ্রেণির সাহিত্যের ইতিহাসের ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা থেকে ( WB Class 11 Bengali Question Answer 2023) যে সমস্ত প্রশ্ন উত্তর এবং একাদশ শ্রেণির সাহিত্যের ইতিহাসের যে নোট শেয়ার করা হয়েছে, তা তোমাদের কাজে লাগবে।।
Tags : একাদশ শ্রেণির সাহিত্যের ইতিহাসের প্রশ্ন উওর | ক্লাস 11 সাহিত্যের ইতিহাসের প্রশ্ন উওর | একাদশ শ্রেণির সাহিত্যের ইতিহাসের saq | একাদশ শ্রেণির সাহিত্যের ইতিহাসের বিশ্বের ভাষা ও ভাষাপরিবারের প্রশ্ন উওর

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top