ভাত গল্পের নোট 2024-"মারতে মারতে উচ্ছবকে থানায় নিয়ে যায়"- কারা, কেন উচ্ছবকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায়?

0

 

"মারতে মারতে উচ্ছবকে থানায় নিয়ে যায়"- কারা, কেন উচ্ছবকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায়?
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ভাত গল্পের প্রশ্ন উওর 2024

আজকের এই ব্লগে আমরা উচ্চমাধ্যমিক বাংলা দ্বিতীয় অধ্যায় অথবা দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় অধ্যায় ভাত গল্পের একটি বড় প্রশ্ন "মারতে মারতে উচ্ছবকে থানায় নিয়ে যায়"- কারা, কেন উচ্ছবকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায়?' এর উওর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।।

"মারতে মারতে উচ্ছবকে থানায় নিয়ে যায়"- কারা, কেন উচ্ছবকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায়?

উওরঃ- আধুনিক যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী রচিত ভাত গল্পে আমরা বাদা অঞ্চলের একজনকে দেখতে পাই, যার প্রকৃত নাম উৎসব কিন্তু সবাই তাকে উচ্ছব বলেই ডাকে।

কিছুদিন আগেই উচ্ছব এক ভয়ঙ্কর ঝড়-বন্যায় তার সমস্ত পরিবার এবং ঘরবাড়ি হারিয়েছে। মাতলা নদীর বন্যার সময় উচ্ছব অনেক চেষ্টা করেও তার ঘরবাড়ি সহ দুই ছেলে,মেয়ে এবং তার স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলে এবং এরপর সে সম্পূর্ণভাবে মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়ে। ভয়ঙ্কর বন্যায় উচ্ছব তার পরিবারকে হারানোর পর মানসিক দিক থেকে কেমন একটা হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বন্যায় সব ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ায় উচ্ছবের গ্রামের ভয়ানক ভাতের অভাব দেখা দিতে শুরু করে। বন্যার সময় বেশ কিছুদিন খিচুড়ি দেওয়া হচ্ছিল,তখন উৎসব সে খিচুরি খেতে পাইনি। যার ফলে উচ্ছব

বেশ কয়েকদিন ধরে না খাওয়া ছিল। এই পরিস্থিতিতে উচ্ছব তার এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় বাসিনির কাছে চলে আসে,  যে কলকাতার এক বড়বাড়িতে কাজ করে। সেখানে উচ্ছব ভাত খাওয়ার লোভ চলে আসে। কিন্তু বাসিনীর তার কাছে চলে আসার পরেও উচ্ছব ভাত খেতে পারে না। কারণ যে বাড়িতে উচ্ছব কাজ করতে আসে, সেই বাড়ির বড়কর্তার ক্যান্সার থাকায় সেদিন বাড়িতে এক তান্ত্রিককে ডেকে এনে হোম যজ্ঞ করানো হয়। সেই সঙ্গে সেদিন বড় বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের চালের ভাত রান্না করা হয়। উচ্ছবকে ভাবে যে সেই তান্ত্রিকের হোম যজ্ঞ হওয়ার পরেই সে ভাত খেতে পারবে। কিন্তু দেখা যায় হোমযজ্ঞের পরেও দেখা যায় বুড়ো কর্তা শেষ পর্যন্ত মারা যায়। বুড়ো কর্তা মারা যাওয়ার কারণে সেদিন বড়বাড়িতে অশৌচ লেগে যায়। ফলে বাড়িতে যে সমস্ত রান্না করা হয়েছিল সেই সমস্ত রান্নাই বাইরে ফেলে দেওয়ার কথা উঠে। বহুদিন ধরে ভাত না খেতে পাওয়া উচ্ছবকে বাসিনীর ফেলে দিতে আসা ভাত তার হাতে দিতে বলে এই কথায় যে, উৎসব নিজেই সেই ভাত বাইরে ফেলে দিয়ে আসবে। কিন্তু ভাতের হাড়ি উচ্ছবকে হাতে পাওয়ার পরেই বহুদিন ধরে উপোস থাকার কষ্টে উচ্ছবকে সেই ভাতের ডেকচি নিয়ে হনহনিয়র হাঁটতে শুরু করে এবং কিছু সময় পরেই উচ্ছবকে দৌড়ে স্টেশনে চলে যায়। স্টেশনে গিয়ে বহুদিন পরে উচ্ছবকে মনের সুখে ভাত খেতে থাকে। অনেকদিন পরে ভাত খাওয়ার সুখে উচ্ছবকে সেখানে বিভিন্ন ধরনের কথাও মনে করে এবং সেই সমস্ত কথা মনে করতে করতে উৎসব পেট ভরে ভাত খায়।।

অনেকদিন পরে আশ মিটিয়ে ভাত খেয়ে স্টেশনেই তৃপ্ত উচ্ছব সেই পেতলের ডেকচিটি জাপটে, তার কাণায় মাথা ছুঁয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন ভোরে পুলিশ ঘুমন্ত উচ্ছবকে স্টেশনেই ধরে ফেলে এবং পেতলের ডেকচি চুরি করার অপরাধে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায় তাকে।

আশাকরি যে, আজকের এই ব্লগের উচ্চমাধ্যমিক বাংলা দ্বিতীয় অধ্যায় অথবা দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় অধ্যায় ভাত গল্পের বড় প্রশ্নের "মারতে মারতে উচ্ছবকে থানায় নিয়ে যায়"- কারা, কেন উচ্ছবকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায়?' উওরটি তোমাদের ভালো লাগবে।।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top