উত্তরঃ পলোল শঙ্কু এবং পলোল ব্যজনী উভয় মূলত নদীর সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত হয়।
পলল শঙ্কু কাকে বলে এবং কিভাবে গঠিত হয়?
উওরঃ নদী যখন পার্বত্য অঞ্চলের পার্বত্য প্রবাহ শেষ করে পার্বত্য প্রবাহের শেষ প্রান্তে এসে পড়ে তখন সমভূমিতে এসে পড়ায় উপত্যকার ঢাল হঠাৎ কমে যাওয়ায় নদীর ক্ষয় ক্ষমতা, বহন ক্ষমতা এবং তার গতিবেগ সবই হঠাৎ করে কমে যায়।। যার ফলে সেই অবস্থায় নদীর ক্ষয় ক্ষমতা না থাকায় নদী কোনো কিছু ক্ষয় করতে পারে না। এবং নদীর জলের গতিবেগ কম থাকায় সেরকম বহন কার্যও ঠিকঠাক ভাবে করে উঠতে পারে না।
এর ফলে নদী শুধুমাত্র সঞ্চয় কার্য করতে পারে। পর্বতের পাদদেশে সমভূমি থাকায় নদী সেখানে তার বাহিত বিভিন্ন পদার্থ গুলি, যেমন- বালি, কাদা, পলি, পাথরখন্ড ইত্যাদি ধীরে ধীরে সঞ্চয় করতে থাকে। নদীবাহিত বালি, কাদা, পলি, পাথরখন্ড ইত্যাদি বিভিন্ন পদার্থ গুলি পর্বতের পাদদেশে দীর্ঘদিন সঞ্চিত হয়ে একসময় তা শঙ্কু আকৃতির ভূমিরূপ গঠন করে। নদীর সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট সেইরূপ শঙ্কু আকৃতির ভূমিরূপ কেই পলল শঙ্কু বলে। এবং এভাবেই মূলত পলল শঙ্কু গঠিত হয়।।
পলোল ব্যজনী কাকে বলে এবং পলোল ব্যজনী কিভাবে গঠিত হয়?
উওরঃ পলোল শঙ্কুর গঠনের পরবর্তী ধাপে পলোল ব্যজনী গড়ে ওঠে। পর্বতের পাদদেশে নদী বাহিত বিভিন্ন পদার্থ গুলি সঞ্চিত হয়ে যখন শঙ্কু আকৃতির অসংখ্য পলল শঙ্কু গঠন করে,, এবং এরপর সেইসব পলল শঙ্কুর ওপর দিয়ে যখন কোনো প্রবাহিত নদী বা জলধারা প্রবাহিত হয়, তা সেই নদী বা জলধারা পলোল শঙ্কুর উপর দিয়ে অসংখ্য শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে বিনুনির মতো হয়ে প্রবাহিত হয় বলে তা বিস্তৃত হয় ও অর্ধগোলাকৃতি আকৃতি নেয়।।
দূর থেকে পলোল শঙ্কুর উপর দিয়ে প্রবাহিত জলধারা বা নদী প্রবাহিত হওয়ায় তাকে দেখতে অনেকটা হাতপাখার মতো মনে হয়। এরূপ ভূমিরূপকেই পলোল ব্যজনী বলে। এবং এভাবেই পলল ব্যজনী গড়ে ওঠে।।