উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধকে সভাসমিতির যুগ বলা হয় কেন?
![]() |
দশম শ্রেণির ইতিহাস সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা বড় প্রশ্ন উত্তর |
উওরঃ উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের মনে ধীরে ধীরে জাতীয়তাবোধ সৃষ্টি হতে শুরু করে এ সময় ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ জিনিসটা খুব ভালো করে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে,ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থাকা ভারতীয়দের স্বার্থ রক্ষা এবং নানা ধরনের দাবি-দাওয়াকে পূরণ করার জন্য তাদের জোরালো রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। এবং সেজন্য সবার মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
সেজন্যইজন্য ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি জাতীয়তাবোধে প্রসার এবং জাতীয়দের স্বার্থ রক্ষার জন্য শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে বাংলায় আঞ্চলিক নেতা বিশিষ্ট বা ব্যক্তিদের নেতৃত্বে বিভিন্ন সভা সমিতি গড়ে উঠতে শুরু করেছিল। এজন্য ডঃ অনীল শীল উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধকে সভা সমিতির যুগ বলে অভিহিত করেছেন।।
উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থাৎ সমিতির যুগের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল। যেমন-
i)রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক শিক্ষা দান।
ii)পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে এই ধরনের সভা-সমিতি গুলি গড়ে উঠেছিল।
iii)এই ধরনের সভা-সমিতি গুলি আগের যুগের তুলনায় অনেক বেশি ধর্মনিরপেক্ষ নীতিতে বিশ্বাসী ছিল।
iv)সংঘবদ্ধ হয়ে কৃষকদের দাবি- দাবা ও রাজনৈতিক সমস্যা গুলির সমাধান করা।
উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলায় যে সমস্ত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা সভা গড়ে উঠেছিল তার,মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল - বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা( ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান) জমিদার সভা,ভারত সভা এবং চৈত্র মেলা ইত্যাদি।।
Tags: দশম শ্রেণির ইতিহাস সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা বড় প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর | class x history suggestion 2023 | class 10 history question answer & notes