একাদশ শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর || WB Class 11 History Question Answer 2022
![]() |
WB Class 11 History Question Answer and suggestion 2022 |
আজকের এই ব্লগ পোস্টে আমরা একাদশ শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় ( wb class 11 history question answer chapter 5 ) " অর্থনীতির বিভিন্ন দিক " এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বা বিষয় " ইউরোপ ও ভারতের বাণিজ্যের তুলনামূলক আলোচনা করো " বিষয়টি বিস্তারে আলোচনা করবো। তোমাদের সামনের ইতিহাস পরিক্ষার জন্য " ইউরোপ ও ভারতের বাণিজ্যের তুলনামূলক আলোচনা " প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই প্রশ্নটি তোমাদের মন দিয়ে পড়া উচিৎ।।
ইউরোপ ও ভারতের বাণিজ্যের তুলনামূলক আলোচনা
বাণিজ্যের বিকাশের সময়কালঃ
• ইউরোপে বাণিজ্যের বিকাশ ঘটে মধ্যযুগে। মধ্যেযুগের একাদশ থেকে চতুর্দশ শতকের মধ্যে ইউরোপে বাণিজ্যের চরম অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়।
• ভারতে হরপ্পা সভ্যতার যুগ থেকেই বাণিজ্যে অগ্রগতি ঘটেছিল। বৈদিক যুগে বাণিজ্য কিছুটা ব্যহত হলেও পরবর্তীকালে মধ্যযুগে ভারতে বাণিজ্যের যথেষ্ট পরিমাণে বিকাশ ঘটে।
বাণিজ্যের বিকাশের কারণ হিসেবে ধর্মের গুরুত্বঃ
• ইউরোপে বাণিজ্যের বিকাশের অন্যান্য কিছু কারণের সঙ্গে একটি ধর্মীয় কারণ যুক্ত ছিল। মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের ক্রুসেড যুদ্ধের ফলে পশ্চিমের এবং প্রাচ্যের যে সম্পর্ক স্থাপন হয়,,তার ফলে সেখানে বিভিন্ন বাণিজ্য দ্রব্যের আমদানি রপ্তানি শুরু হয়েছিল।
• ভারতে বাণিজ্যের অগ্রগতির ক্ষেত্রে নগরজীবনের প্রসার, বাণিজ্য-গিল্ডের প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি বিষয়গুলি কাজ করলেও এক্ষেত্রে কোনো ধর্মীয় বিষয় যুক্ত ছিল না।
সামন্ততন্ত্রের প্রভাবঃ
• ইউরোপে যতদিন পযর্ন্ত সামন্ততন্ত্রের অস্তিত্ব ছিল, ততদিন তা বানিজ্যের বিকাশের ক্ষেত্রে বাধা হয়েছিল।। কিন্তু যখন ইউরোপে সামন্ততন্ত্রের অবক্ষয় শুরু হয়,তখন থেকে বাণিজ্যের বিকাশ ঘটতে শুরু করে।
• কিন্তু অন্যদিকে প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাণিজ্যের অগ্রগতির ক্ষেত্রে ভারতে সামন্ত সামন্ততন্ত্রের অস্তিত্ব না থাকায়, ভারতের বাণিজ্যের বিকাশের ক্ষেত্রে সামন্ততন্ত্রের সেরকম ভাবেও কোনো ভূমিকা ছিল না।।
সামুদ্রিক বাণিজ্যঃ
• ইউরোপে সামুদ্রিক পথ এবং বন্দর গুলি বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র ছিল ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল।
• ভারতের ক্ষেত্রে পশ্চিম উপকূলের সমুদ্র বন্দর গুলি ভারতের বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। ভারতের বাণিজ্যের বেশিরভাগটাই ছিল রোম এবং পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে।
বাণিজ্যের বিকাশের ক্ষেত্রে গিল্ডের ভূমিকাঃ
• ইউরোপে বাণিজ্যের বিকাশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গিল্ড গুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গিল্ডের নানা কাজ কর্মের মাধ্যমে ইউরোপে বাণিজ্যের বিকাশে তা সহায়ক হয়ে উঠেছিল। গিল্ডর নানা কাজকর্ম যেমন - বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকের জোগান দেওয়া, কাঁচামালের সরবরাহ করা, দ্রব্য রপ্তানি - আমদানি করা, শ্রমিকদের কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করা, বিভিন্ন শিল্পজাত দ্রব্যের অনুগত মান পরিক্ষা ইত্যাদি কাজ গুলি বাণিজ্যের প্রসারে সাহায্য করেছিল।।
• ইউরোপের মত ভারতেও বিভিন্ন গিল্ড বা বণিক সংঘগুলি বাণিজ্যের বিকাশে বিশেষভাবে সাহায্য করেছিল।।
নগরায়নঃ
• বাণিজ্যের প্রসারের ফলে ইউরোপের বহু নগর প্রতিষ্ঠিত হয়। তাছাড়াও বাণিজ্যের বিকাশের ফলে ইউরোপের বহু নগরগুলি পূনরায় নতুনভাবে জেগে ওঠে।
• ভারতেও বাণিজ্যের প্রসারের ফলে বহু নগর প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বাণিজ্যের বিকাশের ফলে ভারতে বাণিজ্যের বিকাশের ক্ষেত্রেও তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।।