বিজ্ঞান গবেষণায় বসু বিজ্ঞান মন্দিরের ভূমিকা | ক্লাস টেনের ইতিহাস বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর

0

বসু বিজ্ঞান মন্দির সম্পর্কে একটি টীকা লেখ | বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে বসু বিজ্ঞান মন্দির এর ভূমিকা


বসু বিজ্ঞান মন্দির সম্পর্কে একটি টীকা লেখ | বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে বসু বিজ্ঞান মন্দির এর ভূমিকা
বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর

আজকের এই ব্লগ পোস্টে আমরা ক্লাস টেনের ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় " বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ " এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন - " বসু বিজ্ঞান মন্দির সম্পর্কে টীকা লেখ,অথবা বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে বসু বিজ্ঞান মন্দিরের ভূমিকা কী ছিল? " - সে সম্পর্কে আলোচনা করবো। এবং চেষ্টা করবো, বসু বিজ্ঞান মন্দির সম্পর্কে তোমাদের পরীক্ষা যে সমস্ত প্রশ্ন আসে,সেই সমস্ত ধরনের প্রশ্নের উত্তর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করার।


Table Of Contents 

• বসু বিজ্ঞান মন্দির কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন?
• বসু বিজ্ঞান মন্দির কোথায় অবস্থিত?
• বসু বিজ্ঞান মন্দিরের প্রতীক কি?
• বসু বিজ্ঞান মন্দির কেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
• বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য
• বসু বিজ্ঞান মন্দিরের জার্নাল 
• বসু বিজ্ঞান মন্দিরে কী কী বিষয়ে গবেষণা করা হতো?
• বসু বিজ্ঞান মন্দিরের কিছু সাফল্য।
• বিজ্ঞান গবেষণায় বসু বিজ্ঞান মন্দিরের ভূমিকা

বসু বিজ্ঞান মন্দির সম্পর্কে একটি টীকা লেখ | বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে বসু বিজ্ঞান মন্দির এর ভূমিকা

◆ ভূমিকা : উনিশ শতক ও বিশ শতকে সূচনায় ভারতীয়দের উদ্যোগে যে সমস্ত বিজ্ঞানচর্চার জন্য বা বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুড়ে উঠেছিল,তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ছিল আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর প্রতিষ্ঠিত " বসু বিজ্ঞান মন্দির " বা " বোস ইনস্টিটিউট "।

◆ বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা : ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অবসর গ্রহণ করার পর,তিনি বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারের কথা ভাবেন। জগদীশচন্দ্র বসু প্রেসিডেন্সি কলেজে বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে যে সমস্ত তিনি বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছিলেন, তিনি তা দূর করে এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন,যেখানে স্বাধীনভাবে বিজ্ঞান চর্চা করা যাবে। এই উদ্দেশ্যেই তিনি নিজস্ব অর্থ ও সংগৃহীত 11 লক্ষ টাকা অনুদানের অর্থে 1917 খ্রিস্টাব্দের 23 নভেম্বর কলকাতায় তিনি তার বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। বসু বিজ্ঞান মন্দিরের প্রতীক ছিল বজ্র্য। 


বসু বিজ্ঞান মন্দির কেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?|বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য

বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য  : 1917 খ্রিস্টাব্দে 23 শে নভেম্বর জগদীশচন্দ্র বসুর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত, বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল একাধিক। যেমন - 

• প্রথমত,জগদীশচন্দ্র বসুর তার বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠারপ্রধান উদ্দেশ্য ছিল - বিজ্ঞানের অগ্রগতি এবং বিজ্ঞানের প্রসার ঘটানো। 

• দ্বিতীয়ত,তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনার সময়ে বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে যে সমস্ত সরকারি বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছিলেন, তিনি সে সমস্ত বাধা বিপত্তি বিহীন একটি এমন একটি বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, যেখানে বিজ্ঞানে আগ্রহী ছাত্রছাত্রীরা স্বাধীনভাবে বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে বিজ্ঞানের প্রসার ঘটাতে পারবে।

◆ বসু বিজ্ঞান মন্দির পরিচালনা : বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করার পর জগদীশচন্দ্র বসু " বসু বিজ্ঞান মন্দির " পরিচালনার জন্য এর দায়িত্ব অর্পন করেছিলেন ট্রাস্টির হাতে। বসু বিজ্ঞান মন্দিরের পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তৎকালীন সময়ের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। যেমন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যেন্দ্র প্রসন্ন সিংহ, নীলরতন সরকার, সতীশ চন্দ্র দাস,অবলা বসু প্রমুখ।

বসু বিজ্ঞান মন্দিরে কী কী বিষয়ে গবেষণা করা হতো?

◆ গবেষণার বিষয় : বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার প্রথমদিকে, বসু বিজ্ঞান মন্দিরের শুধুমাত্র তিনটি বিষয়ে গবেষণা করা হতো। সেগুলি ছিল - পদার্থবিদ্যা,উদ্ভিদবিদ্যা এবং রসায়নবিদ্যা। কিন্তু পরবর্তীকালে বসু বিজ্ঞান মন্দিরের গবেষণার বিষয় হিসাবে আর 4 টি বিষয় যুক্ত করা হয়।  সেগুলি ছিল - প্ল্যান্ট বায়োলজি, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি এবং বায়োফিজিক্স। 


◆ জার্নাল প্রকাশ : বসু বিজ্ঞান মন্দিরের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয়ে এবং সেই সঙ্গে আরও নানা বিজ্ঞান সম্পর্কিত তথ্য বা কথা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য, বসু বিজ্ঞান মন্দির থেকে " ট্রানজ্যাকশনস " নামক একটি জার্নাল প্রকাশ করা হয়।।

◆ বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা কিছু সফলতা : জগদীশচন্দ্র বসুর " বসু বিজ্ঞান মন্দির " প্রতিষ্ঠার বেশকিছু সফলতা রয়েছে। যেমন - 

• জগদীশচন্দ্র বসু তার বসু বিজ্ঞান মন্দিরে গবেষণা করেই প্রমাণ করেছিলেন যে, প্রাণীদের মতো উদ্ভিদেরও প্রাণ রয়েছে। 

• জড় ও জীবের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে বিভিন্ন গবেষণা করার জন্য বসু বিজ্ঞান মন্দির গবেষণা করেই সতেরোটি বিভিন্ন যন্ত্র আবিষ্কার করা হয়। তার মধ্যে কেস্কোগ্রাফ ছিল একটি অন্যতম যন্ত্র। 

• জগদীশচন্দ্র বসুর - বসু বিজ্ঞান মন্দির গবেষণা করেই শম্ভুনাথ দে কলেরা রোগের টিকা আবিষ্কার করেছিলেন। 


Tags : 

ক্লাস 10 বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর | দশম শ্রেণির বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন | মাধ্যমিকের ইতিহাসের বড় প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর  | wb class 10 history question answer chapter 5 | wb class 10 history chapter 5 question answer in Bengali | history notes | class 10 history suggestion | class 10 history question answer | class 10 history notes | Madhyamik history suggestion | history test



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top