বিষ্ণুগুপ্ত অথবা কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের বর্ণিত বিভিন্ন প্রকার প্রাচীন বিবাহ রীতি সম্পর্কে আলোচনা করো || ক্লাস XI ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর
![]() |
একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর |
আজকের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আমরা একাদশ শ্রেণীর চতুর্থ অধ্যায় ( Class 11 history chapter 4 questions and answers in bengali ) " রাষ্ট্রের প্রকৃতি ও তার শাসনতন্ত্র " ( Class 11 history chapter 4 questions and answers ) " থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন " বিষ্ণুগুপ্ত অথবা কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের বর্ণিত বিভিন্ন প্রকার প্রাচীন বিবাহ রীতি সম্পর্কে আলোচনা করো।"- এর উওর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। ক্লাস 11 ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ঃ রাষ্ট্রের প্রকৃতি এবং তার শাসনতন্ত্র থেকে " বিষ্ণুগুপ্ত অথবা কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের বর্ণিত বিভিন্ন প্রকার প্রাচীন বিবাহ রীতি সম্পর্কে আলোচনা করো।।" প্রশ্নটি তোমাদের সামনের পরিক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের এই ক্লাস 11 এর ইতিহাস প্রশ্ন উওর গুলো একটু ভালো করে নোট করে নাও।।
• দৈব বিবাহ কাকে বলে?
• আর্য বিবাহ কাকে বলে?
• ব্রাহ্ম বিবাহ কাকে বলে?
• রাক্ষস বিবাহ কাকে বলে?
• অসুর বিবাহ কাকে বলে?
• গান্ধর্ব বিবাহ কাকে বলে?
• পৈশাচ বিবাহ কাকে বলে?
• প্রাজপত্য বিবাহ কাকে বলে?
• আর্য বিবাহ কাকে বলে?
• ব্রাহ্ম বিবাহ কাকে বলে?
• রাক্ষস বিবাহ কাকে বলে?
• অসুর বিবাহ কাকে বলে?
• গান্ধর্ব বিবাহ কাকে বলে?
• পৈশাচ বিবাহ কাকে বলে?
• প্রাজপত্য বিবাহ কাকে বলে?
কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের বর্ণিত বিভিন্ন প্রাচীন বিবাহ রীতি সম্পর্কে আলোচনা করো।। || ক্লাস xi ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর
ভূমিকাঃ প্রাচীন ভারতের একজন বিখ্যাত কূটনীতিবিদ অথবা রাষ্ট্রনীতিবিদ কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র গ্রন্থে' প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন প্রকার বিবাহ রীতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। কৌটিল্যের তার অর্থশাস্ত্র গ্রন্থে প্রাচীন ভারতে প্রচলিত ৮ প্রকার বিবাহ রীতি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। প্রাচীন ভারতে প্রচলিত সেই আট প্রকার বিবাহ রীতি হলো -
দৈব বিবাহঃ প্রাচীন ভারতের দৈব বিবাহঃ দৈব বিবাহ রীতিতে কন্যার পিতা কন্যাকে একটি যজ্ঞ অনুষ্ঠান করার মাধ্যমে কোনো যোগ্য পুরোহিতের হাতে সসম্মানে তুলে দিতেন।।
ব্রাহ্ম বিবাহঃ বর্তমানকালের বিবাহ রীতিতে পাত্রীকে যেমন বিভিন্নভাবে সাজিয়ে কোনো সুযোগ্য পাত্রের সঙ্গে বিবাহ দেওয়া হয়,প্রাচীন কালেও ঠিক একই ভাবে বিবাহযোগ্য কন্যাকে কাপড় এবং বিভিন্ন অলংকার দ্বারা মাধ্যমে সজ্জিত করে কোনো সুযোগ্য পাত্রী সঙ্গে বিবাহ দেওয়া হতো।। প্রাচীন কালের এই বিবাহ রীতি ব্রাহ্ম বিবাহ রীতি নামে পরিচিত।
আর্য বিবাহঃ প্রাচীন আর্য সমাজে পাত্রপক্ষের কাছ থেকে প নেওয়ার মাধ্যমে কন্যাকে সম্পাদন করার যে বিবাহের বিরহ রীতি প্রচলিত ছিল, তা আর্য বিবাহ রীতি নামে পরিচিত। প্রাচীনকালে পাত্রপক্ষের কাছ থেকে একটি গাভী ও একটি বলদ অথবা একজোড়া গাভী পন হিসেবে নিয়ে, পিতা তার কন্যাকে পাত্রের হাতে তুলে দিতেন। প্রাচীন ভারতের এইরূপ বিবাহ রীতি আর্য বিবাহরীতি নামে পরিচিত।
গান্ধর্ব বিবাহঃ প্রাচীনকালে যখন পাত্র-পাত্রী ভালোবাসার মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতেন, তখন সেই প্রকার বিবাহ গান্ধর্ব বিবাহ নামে পরিচিত ছিল। এই প্রকার বিবাহ রীতিতে পাত্র এবং পাত্রী প্রেম বা ভালোবাসার মাধ্যমে তাদের বিবাহের প্রথম পর্বের সূচনা করেতেন। এবং পরবর্তী ধাপ নির্দিষ্ট সামাজিক নিয়ম- অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই সম্পূর্ণ হতো।
রাক্ষস বিবাহঃ রাক্ষস বিবাহ বলতে প্রাচীনকালের কোনো বলপূর্বক বিবাহকে বোঝাত। যখন কোনো বিবাহে পাত্র বা পাত্রীর ওপর প্রয়োগ করা হতো, অথবা বলপূর্বক ভাবে পাত্র বা পাত্রীকে বিবাহ দেওয়া হতো, তখন সেই প্রকার বিবাহ রাক্ষস বিবাহ নামে পরিচিত ছিল।।
পৈশাচ বিবাহঃ যখন কোনো পাত্র বিবাহের বিবাহযোগ্য পাত্রীকে নিদ্রা অবস্থা,পানাসক্ত, অথবা বিকৃত মস্তিষ্ক অবস্থায় থাকা নারীকে যদি পালিয়ে নিয়ে গিয়ে নির্জনে বিয়ে করতো, তখন সেই প্রকার বিবাহকে পৈশাচ বিবাহ বলা হতো। সমাজে সেই সমস্ত বিবাহকে কখনোই সুনজরে দেখা হতো না।।
অসুর বিবাহঃ বর্তমান সমাজে যেমন পাত্রীপক্ষের কাছ থেকে অনেক সময়ই বিভিন্ন ধরনের পন গ্রহণ করা হয়, প্রাচীনকালেও ঠিক একই ভাবে পাত্রী পক্ষের থেকে পন নেওয়া হতো। যখন পাত্রপক্ষ, পাত্রীপক্ষের কাছ থেকে পন গ্রহণের মাধ্যমে তাদের বিবাহ সম্পন্ন করতো, তখন সেই প্রকার বিবাহকে অসুর বিবাহ বলা হতো।
প্রাজপত্য বিবাহঃ প্রাচীনকালে যখন কোন পিতা-মাতা পাত্র-পাত্রীকে " তোমরা দুজনে গার্হস্থ্য ধর্ম পালন করো " এই বিশেষ আশীর্বাদ প্রদান করার মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন করতেন, তখন তাকে বলা হত প্রাজপত্য বিবাহ।।