জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর ক্লাস টেন | জ্ঞানচক্ষু গল্প অনুসারে তপনের চরিত্রটি আলোচনা করো

0

জ্ঞানচক্ষু গল্প অনুসারে তপনের চরিত্রটি আলোচনা করো | ক্লাস টেনে জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড় প্রশ্ন উওর

জ্ঞানচক্ষু গল্প অনুসারে তপনের চরিত্রটি আলোচনা করো | ক্লাস টেনে জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড় প্রশ্ন উওর
জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের চরিত্র


আজকের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আমরা ক্লাস টেনের বাংলা প্রথম অধ্যায় জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড় প্রশ্ন উওর হিসেবে " জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের চরিত্র " বা " জ্ঞানচক্ষু গল্প অনুসারে তপনের চরিত্রটি " নিয়ে আলোচনা করবো। 


ভূমিকা : আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র বা মূল চরিত্র হলো তপন। জ্ঞানচক্ষু গল্পে দেখা যায় তপনের জীবনও আর পাঁচজন স্বাভাবিক বাচ্চার মতোই আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন স্বপ্নভঙ্গ, কল্পনা ও বাস্তব,আনন্দ অভিমান ইত্যাদির মধ্যেই মিশে রয়েছে। তবে তপনের জীবন আর পাচজন স্বাভাবিক শিশুর মতো হলেও, তপনের চরিত্রে আমরা বিশেষ কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য দেখতে পাই,যা তপনকে আর 5 জন স্বাভাবিক শিশুর থেকে আলাদা করে রাখে। যেমন - 

তপনের কল্পনার জগত : প্রত্যেক শিশুরই একটি আলাদা কল্পনার জগত থাকে। যেখানে তারা নিজেদের বিভিন্ন বিষয় বস্তু গুলিকে নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নিতে ভালোবাসে। আর 5 জন শিশুর মতো তপনেরও ছিল সেরকমই একটি কল্পনার জগত। কিন্তু তার কল্পনার জগতের সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হলো,আর পাঁচজন স্বাভাবিক শিশু লেখকদের সম্পর্কে যতটা না ভাবতো, তপন তার কল্পণার দুনিয়ায় লেখকদের সম্পর্কে আরও একধাপ এগিয়ে ভাবতো। তপনের কল্পনার জগতে লেখকরা ছিল ভিনগ্রহের প্রাণী।  অর্থাৎ লেখকরা কোনো সাধারন মানুষ নয় যারা পৃথিবীতে থাকবে। তাই তপন তার কল্পনার মাধ্যমে লেখকদের একটি আলাদা গ্রহের প্রাণী হিসেবে নিজের কল্পনার দুনিয়ায় উপস্থিত করেছিল।

সাহিত্যপ্রেমী : তপনের চরিত্রের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, তপন ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যপ্রেমী। তপন ছোটবেলা থেকেই অনেক গল্পের বই পড়েছে এবং অনেকের কাছ থেকেই বিভিন্ন রকম গল্প শুনেছে। যার ফলে সাহিত্যের প্রতি তপনের আলাদা রকম একটা আকর্ষণ বা টান রয়েছে। এবং সেই আকর্ষণ বা টানের জন্যই তপন, যখন জানতে পারে যে তার ছোট মেসো একজন লেখক,তখন তপনের মনেও একজন লেখক হয়ে ওঠার ইচ্ছে জাগে। 

গভীর চিন্তা-ভাবনা সম্পন্ন : তপন যে তার বয়স অনুপাতে খুবই গভীর চিন্তা-ভাবনা সম্পন্ন ছিল তা আমরা এই কথা থেকেই জানতে পারি যে,তার বয়সের ছেলে মেয়েরা যখন গল্প লিখতে যায় তখনই তারা হয়তো রাজা রানী,খুুন-যখম - অ্যাক্সিডেন্ট ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে। কিন্তু তপন এসব বিষয়ে থেকে বেরিয়ে এসে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতিতি নিয়েই গল্প লিখেছিল। যা তার আলাদা চিন্তাভাবনার পরিচয় দেয়।

আত্মমর্যাদা সম্পন্ন : তপনের বয়স কম হলেও, বয়স হিসেবে তপনের আত্মমর্যাদা ছিল প্রবল। তপনের মেসোমশাই যখন, তপনের লেখা গল্পটা পাল্টে নিজের গল্পটাই ছাপিয়ে দেয়, তখন সেই ব্যাপারটা তপনের আত্মসম্মানে লাগে। যার পরেই তপন মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে যে, তপন যদি আর কোনোদিন গল্প লেখে,তাহলে সে নিজে গিয়ে ছাপতে দিয়ে আসবে। তাতে তপনের লেখা ছাপা হলেও খুশি আর না হলেও খুশি। কিন্তু তাকে যেন আর কখনোই শুনতে না হয় যে তার লেখা অন্য কেউ ছাপিয়ে দিয়েছে।


Tags : 

জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর ক্লাস টেন | জ্ঞানচক্ষু গল্প অনুসারে তপনের চরিত্রটি আলোচনা করো | জ্ঞানচক্ষু গল্প অনুসারে তপনের চরিত্রটি আলোচনা করো | ক্লাস 10 জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উওর | Madhyamik Bangla Question Answer | Madhyamik Bangla Suggestion | Class 10 Bangla Notes | Class 10 Bangla Question Answer 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top