পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা করো | পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রামমোহনের ভূমিকা

0

 

পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা করো | পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রামমোহনের ভূমিকা 


পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা করো | পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রামমোহনের ভূমিকা

আজকের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আমরা দশম শ্রেণীর ইতিহাস বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন "  পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা করো " অথবা " এদেশের পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা করো " - এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। 

পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা করো | পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রামমোহনের ভূমিকা 

ভূমিকা: উনিশ শতকে ভারতবর্ষের মূলত প্রাচ্য ধাচের শিক্ষাকেই অধিক গুরুত্বপূর্ণ দেওয়া হতো। কিন্তু সেই সময়ে অনেকেই এটা অনুভব করতে পেরেছিলেন যে,দেশের উন্নতির জন্য বা ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষের সার্বিক উন্নতির জন্য এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটানো দরকার। যারা এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন তাদের মধ্যে একজন ছিলেন রাজা রামমোহন রায়। রাজা রামমোহন রায়ের উনিশ শতকে নিজ অর্থ ব্যয় করে এবং নিজ উদ্যোগে এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেন। যেমন - 


উদ্যোগ : পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে রাজা রামমোহন রায়কে পথিকৃত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। রাজা রামমোহন রায় উপলব্ধি করেছিলেন যে আমাদের সমাজে যদি পাশ্চাত্যের জ্ঞান-বিজ্ঞানের শিক্ষার আলো না পরে,তাহলে আমাদের সমাজ থেকে কখনোই অন্ধ কুসংস্কার, সমাজের বিভিন্ন ভুল ধারণা, বা খারাপ দিকগুলি কখনোই শেষ হবেনা।। এবং আমাদের মধ্যে কখনোই যুক্তিবাদী মানসিকতা মনে জেগে উঠবে না । তাই আমাদের মধ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষা একান্ত প্রয়োজন।।  এবং এই চিন্তা ভাবনা থেকেই রাজা রামমোহন রায় পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগে পরেন।। 

সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন

1813 খ্রিষ্টাব্দে সনদ আইনে সরকার ঘোষণা করে যে, ব্রিটিশ সরকার ভারতের শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতি বছর 1 লক্ষ টাকা ব্যয় করবে। কিন্তু সেই এক লক্ষ টাকা ভারতের কোন ধরনের শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থাৎ প্রাচ্য নাকী পাশ্চাত্য  শিক্ষায় ব্যয় করা হবে তা নিয়ে সে সময়ে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব চলছিল। ঠিক এই সময়ে রাজা রামমোহন রায় লর্ড আমহার্স্টকে একটি চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ করেছিলেন, যে ভারতবাসী শিক্ষার উন্নয়নের জন্য সরকার যে এক লক্ষ টাকা ব্যয়ের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে, সেই টাকা এদেশের পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের জন্য ব্যয় করা হয়।।

অ্যাংলো হিন্দু স্কুল নামক ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা : 

ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে রাজা রামমোহন রায় নিজে যে সমস্ত উদ্যোগ নিয়েছিলেন,তার মধ্যে অন্যতম একটি উদ্যোগ হলো 1815 খ্রিস্টাব্দে তার অ্যাংলো হিন্দু স্কুল নামক একটি ইংরেজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ। এই ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তিনি নিজের অর্থ খরচ করে 1815 খ্রিষ্টাব্দের এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।।


বেদান্ত কলেজ প্রতিষ্ঠা:

রাজা রামমোহন রায় যে সময়কার মানুষ ছিলেন, সেসময় হিন্দু সমাজে বিভিন্ন সামাজিক কূপ্রথা, অন্ধবিশ্বাস ইত্যাদি প্রচলিত ছিল। রাজা রামমোহন রায় সমাজ থেকে সেই সমস্ত বিভিন্ন কুসংস্কার, কূপ্রথা দূর করার জন্য এবং পাশ্চাত্য পদার্থবিদ্যা ও সমাজ বিজ্ঞানের ধারণা প্রসারের উদ্দেশ্যে তিনি তার নিজের অর্থ খরচ করে 1826 খ্রিস্টাব্দে বেদান্ত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।।

আলেকজান্ডার ডাফ কে সাহায্য:

এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে, যেসমস্ত অন্যান্য ব্যক্তিরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে আলেকজান্ডার ডাফ ছিলেন একজন। আলেকজান্ডার ডাফ যখন এদেশের পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের জন্য উদ্যোগ নেন, তখন রাজা রামমোহন রায় আলেকজান্ডার ডাফকে জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার সময়  বিশেষভাবে সাহায্য করেছিলেন।।

উপসংহার

পরিশেষে আমরা দেখতে পাই যে,রাজা রামমোহন রায় ভারতবর্ষের অবস্থা দেখেই, এদেশে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। তাই তিনি নিজ উদ্যোগ সব রকম ভাবে এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের জন্য চেষ্টা করে গেছেন। এবং যেভাবে পেরেছেন অন্যকে সাহায্য করে এবং সরকারি সহযোগিতার মাধ্যমে ভারতবাসীর জন্য আধুনিক জ্ঞান লাভের দরজা খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেছিলেন। এবং

তিনি সেগুলোতে সফলও হয়েছিলেন।  এবং এভাবে রাজা রামমোহন রায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে ভারতীয় সমাজ থেকে বিভিন্ন কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাস দূর করে ভারতে আধুনিক সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।।


আশাকরি উপযুক্ত আলোচনা থেকে তোমরা " পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা করা | এদেশের পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা " কী ছিল - সেই সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ clear-cut ধারণা এবং " পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা " প্রশ্নটির সঠিক উত্তর পেয়ে গেছো।  যদি আজকের এই ব্লগ পোস্ট থেকে " পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা করা | এদেশের পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা "  প্রশ্নের উত্তর পেয়ে থাকো, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়ে দেখতে পারো।


 Tags

সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উওর | ক্লাস টেনের সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উওর | ক্লাস 10 সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা বড় প্রশ্ন উওর | দশম শ্রেণির সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন | মাধ্যমিকের ইতিহাসের বড় প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর | দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন | wb class 10 history question answer  | wb class 10 history short question answer | wb class 10 history saq question answer | wb class 10 history mcq question answer | Madhyamik History question and answer | Madhyamik History question and answer Bengali | history question answer | history saq | history question answer | class 10 history short question answer | class 10 history question answer 
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top