মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা কি? || মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা সম্পর্কে টীকা লেখ |
মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা কি? || মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা সম্পর্কে টীকা লেখ
উওরঃ- ভারতের বিভিন্ন শ্রমিক আন্দোলন এবং কৃষক আন্দোলনে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি যোগ দিয়ে বিভিন্নভাবে নেতৃত্ব দান করে তাদের শক্তিশালী করে তুলেছিল। কমিউনিস্ট পার্টির বিভিন্ন নেতাদের যোগ্য নেতৃত্ব দানের ফলে ভারতে দিনের-পর-দিন শ্রমিক আন্দোলন এবং কৃষক আন্দোলন গুলি আরো জোরালো এবং শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকে। এতে ব্রিটিশ সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাই ব্রিটিশ সরকার ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাবে সেই সমস্ত শ্রমিক আন্দোলনকে এবং কৃষক আন্দোলনকে দমন করার জন্য এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাব রোধ করার জন্য 1929 খ্রিস্টাব্দে কমিউনিস্ট পার্টির 33 জন নেতার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দায়ের করে, তাই মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত।।
মামলার রায়ঃ-
মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির কয়েকজন উল্লেখযোগ্য নেতা ছাড়াও কয়েকজন বিদেশী কমিউনিস্ট নেতার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলা 1929 খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় এবং তা 1933 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চলে। 1933 খ্রিস্টাব্দের অভিযুক্তদের কয়েকজনের দীর্ঘ মেয়াদে কারাদণ্ড হয় এবং বাকিদেরও বিভিন্নভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।।
মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন উল্লেখযোগ্য নেতাঃ-
মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ভারতীয় নেতাদের মধ্যে ছিলেন- শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়,মুজাফফর আহমেদ, শওকত উসমান, কে এন জোগেলকর,পি.সি. যোশী, এস.এস.ডাঙ্গে। এবং বিদেশি নেতাদের মধ্যে ছিলেন বেঞ্জামি ফ্রান্সিস ব্র্যাডলি এবং লেস্টার হাচিনসন এবং ফিলিপ স্প্র্যাট প্রমুখ।।
মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা গুরুত্বঃ-
মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার ফলে ভারতের শ্রমিক ও কৃষক আন্দোলন থেকে কমিউনিস্ট নেতারা সরে আসতে বাধ্য হলেও, মিথ্যা মামলায় কমিউনিস্ট নেতাদের গ্রেফতার করে তাদের ফাঁসানো পরেও তারা তাদের কমিউনিস্ট বা সমাজতান্ত্রিক নীতি ও আর্দশকে ত্যাগ করেনি। এবং তাদের এই নীতি এবং আদর্শ সংবাদপত্রের মাধ্যমে যখন জনসাধারণের কাছে পৌঁছায় তখন জনসাধারণের এই কমিউনিস্ট ভাবধারা আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।