'কোনি' উপন্যাস অবলম্বন সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহের চরিত্র সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উওরঃ বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের দ্বিতীয় প্রধান চরিত্র হলেন ক্ষিদ্দা অর্থাৎ ক্ষিতীশ সিংহ। কোনি উপন্যাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা ক্ষিতীশ সিংহ অর্থাৎ ক্ষিদ্দাকে বিভিন্ন ভাবে দেখতে পাই। এই কোনি উপন্যাসের ক্ষিতীশ সিংহের চরিত্রের নানা দিকে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। কোনি উপন্যাসে আমরা ক্ষিতীশ সিংহের চরিত্রের যে বৈশিষ্ট্য গুলি সম্পর্কে জানতে পারি,,তা হল -
প্রকৃতশিক্ষকঃ ক্ষিতীশ সিংহ ছিলেন একজন জাতশিক্ষক। তাই তিনি যেকোনো প্রকারে বা মূল্যে শুধুমাত্র কোনিকে স্বপ্ন পূরণের রাস্তায় তুলে দিয়েছিলেন তা নয়, কোনির আগে জুপিটার ক্লাবের প্রশিক্ষক পদে থাকার সময়ও তিনি নিজের ছাত্রদের সফলতার শিখরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করতেন।
প্রতিভা চেনার ক্ষমতাঃ ক্ষিদ্দার সবচাইতে বড় গুনো হলো, তারমধ্যে প্রতিভা চিনে নেওয়ার ক্ষমতা ছিল যথেষ্ট পরিমান। এবং ক্ষিদ্দার মধ্যে প্রতিভা চিনে নেওয়ার ক্ষমতা ছিল বলেই গঙ্গার ঘাটে পাওয়া মেয়েটির সুপ্ত প্রতিভাকে দেখতে পান ও তা বিকশিত করার চেষ্টা করেন।
স্নেহশীলঃ ক্ষিতীশ সিংহ ছিলেন স্নেহশীল শিক্ষক। ক্ষিতীশ সিংহের নিজের কোন মেয়ে বা সন্তান না থাকায়, তিনি যখন কোনকে নিজের ছাত্রী হিসেবে পেয়েছিলেন,তখন তিনি কোনিকে নিজের ছাত্রী এবং মেয়ে দুই হিসাবেই দেখতেন। তাই তিনি কোনিকে মেয়ের মতো দেখতেন ও ভালোবাসতেন।
দায়িত্ববোধঃ একজন প্রকৃত শিক্ষক হিসেবে, ক্ষিদ্দার মধ্যে সেই পরিমাণ দ্বায়ীত্ববোধটুকু ছিল, যার একজন শিক্ষকের মধ্যে থাকা দরকার। কোনির শিক্ষক হওয়ায় তিনি কোনিকে নিজ খরচে, নিজ দায়িত্বে খাওয়াতেন, রাখতেন। এছাড়াও, তিনি যখন কোনির বাড়ির আর্থিক দুরবস্থা সম্পর্কে জানতে পারে,তখন তিনি কোনির পরিবারকে আর্থিক ভাবে সাহায্যে করার জন্য, লীলাবতীর দোকানে কোনির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন।
গরিব দরদিঃ ক্ষিতীশ সিংহ ছিলেন একজন গরিব ও দরদি ব্যক্তি। তিনি গরীব মানুষের কাছে যেচে সাহায্যের হাত বাড়াতে দ্বিধা করতেন না। তাই ক্ষিতীশ সিংহের সেইরকম সামর্থ্য না থাকলেও, তিনি কোনিত পরিবারকে নানাভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন।।
সততাঃ ক্ষিতীশ ছিলেন সৎ। তিনি জুপিটার থেকে বেরিয়ে আসার পরও জুপিটারের প্রতি তার ভালবাসা একটুকু কমাননি। তিনি তার জীবনে এই সততা বজায় রেখেছিলেন।
তীক্ষ্ণ বুদ্ধিঃ ক্ষিতীশ সিংহ ছিলেন তীক্ষ্ণ বুদ্ধির অধিকারী। তিনি কোনির মানসিক অবস্থা দেখে তাকে খাটানোর জন্য টোস্ট, রুটি ও কলার লোভ দেখান। এছাড়াও, কোনি উপন্যাসে ক্ষিতীশ চরিত্র ছিল কোনি চরিত্রের পরিপূরক। কোনি সারাজীবন একজন শিক্ষক ও ক্ষিতীশ একজন ছাত্র বা ছাত্রীর খোঁজে জীবন অতিবাহিত করেছেন।এইভাবে সমগ্র উপন্যাস জুড়ে আশা, নিরাশার দোলাচলে দুলতে দুলতে কল্পনা বাস্তবের সম্মুখ সফরে পড়ে জীবনের বিচিত্র স্বাদ লাভ করে উক্ত চরিত্রটি।
Tags :